করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় ভারতের কাজ যথেষ্ঠ প্রশংসা পেয়েছে বিদেশে। করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন রাজ্যগুলির কাজে রীতিমত খুশী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। আগামী দিনে এইভাবেই গোটা দেশকে এগিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে যেখানে ছিল তাকে সেখানেই রাখাই ছিল লকডাউনের কেন্দ্রীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এখন অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত সবথেকে খারাপ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা গেছে। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত গ্রামীণ ভারতে করোনা সংক্রমণ রুখে দেওয়া গেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন ধীরে ধীরে দেশের আর্থিক বিকাশে গতি আনাই এখন প্রধান লক্ষ্য।
ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের লাইফলাইন ভারতীয় রেল। উড়ান ও জাহাজেও প্রচুর মানুষ বিদেশ থেকে দেশে আসছেন। বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে অভিবাসী শ্রমিকরা। এই অবস্থায় আগামী পদক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। দুপুর তিনটে নাগাদ শুরু হয়েছিল এই বৈঠক। তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলার পর সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ সাময়িক বিশ্রাম ঘোষণা করা হয়। রাত ৯টা ৩০ পর্যন্ত বৈঠক চলবে বলেই সূত্রের খবর। সোমবারের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারমন হর্ষ বর্ধনসহ অনেকেই।
মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেনের পরিষেবা। আর এই ট্রেনের পরিষেবা চালু করার তীব্র বিরোধিতা করেনেছে তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তিনি বলেন, দেশের প্রায় সবকটি মেট্রো শহরই রেড জোনে পড়ছে। তাই ট্রেন চালু হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেই দাবি করেছেন তিনি। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তামিলনাড়ু ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও লকডাউন বাড়ানোর কথাই বলেছেন।
এদিনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইকেই সবথেকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতেও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে কাজকর্ম শুরু হয়েছে। আগামী দিনে তা আরও গতি পাবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এই বৈঠকে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোডের ওপর জোর দিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনাও করেন।