প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার একটি বেঞ্চ দোষী সাব্যস্তদের একজন ফারুকের পক্ষে উপস্থিত হওয়া আইনজীবীর পিটিশন নিয়ে আলোচনা করেন। ফারুকের আইনজীবী বলেন, এখন পর্যন্ত সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জামিন দিতে হবে।
২০০২ সালের গোধরা ট্রেন অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দোষীদের বড়সড় স্বস্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারুকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামি ১৭ বছরের জন্য কারাগারে রয়েছে। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ফারুকের জামিন মঞ্জুর করার সময়, আদালত বলে যে সে ইতিমধ্যে ১৭ বছর কারাদন্ড ভোগ করেছেন।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার একটি বেঞ্চ দোষী সাব্যস্তদের একজন ফারুকের পক্ষে উপস্থিত হওয়া আইনজীবীর পিটিশন নিয়ে আলোচনা করেন। ফারুকের আইনজীবী বলেন, এখন পর্যন্ত সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জামিন দিতে হবে।
দোষীদের আপিলের দ্রুত শুনানির প্রয়োজন - সলিসিটর জেনারেল
মামলার শুনানির সময় গুজরাট সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা হাজির হন। তিনি বলেন, এটি ছিল সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ যাতে নারী ও শিশুসহ ৫৯ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। তুষার মেহতা বলেছেন যে দোষীদের আপিলের দ্রুত শুনানি হওয়া দরকার। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে জেলে আছে সে। তাই তার কারাদণ্ডের মেয়াদকে বিবেচনা করে এই আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করছে।’ যদিও এই জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন গুজরাট সরকারের পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, ‘গোধরায় যা হয়েছিল তা এক জঘন্য অপরাধ ছিল। এতে ৫৯ জন মারা গিয়েছিলেন।’
সবরমতি এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়
উল্লেখযোগ্যভাবে, আদালত ফারুক এবং অন্যদের সবরমতি এক্সপ্রেসের কোচে পাথর ছোড়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছিল। তুষার মেহতা বলেন, পাথর ছোড়া সাধারণত গৌণ প্রকৃতির অপরাধ, তবে ট্রেনে পাথর ছোড়া হয় যাতে যাত্রীরা জ্বলন্ত ট্রেন থেকে বেরিয়ে এসে পুড়ে মারা যেতে না পারে।
৫৯ জন করসেবক পুড়ে মারা যায়
২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০২-এ, সবরমতী এক্সপ্রেসের বগি এস-৬ গোধরায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। আগুনে পুড়ে মারা যায় ৫৯ জন। এই ঘটনার পর গুজরাটে দাঙ্গা শুরু হয়। সেই দাঙ্গার বলি হয়েছিলেন ১০০০ জনেরও বেশি। এদিকে গোধরায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০১১ সালে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এর মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ জনকে জাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল।এদিকে গোধরায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০১১ সালে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এর মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল।