সোনার দাম দিনে দিনে বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে সোনা। তবে এই মূল্যবান ধাতুই নাকি নদীতে বয়ে আসছে। আর সেই সোনার কুচি কুড়িয়েও পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন ঘটনাই ঘটেছে ছত্তিশগড়ের যশপুরে। আর তাতেই এলাকার মানুষ আশায় বুক বাঁধছেন, আশেপাশেই কোথাও রয়েছে সোনার খনি। আর সেখানেই জমা আছে রাশি রাশি সোনা।
ছত্তিশগড়ের যশপুরে কয়েক শতাব্দী ধরে দুটি নদীতে সোনার কণা সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে। আর তাতেই এখানের সোনার খনি পাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই দৃঢ় হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এবার সোনার খনির ব্যাপারে জরিপের কাজও শুরু করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। পুরো ব্যাপারটিই এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে সোনার খনির অনুসন্ধানের জন্য একটি সার্ভের প্রস্তুতি করা হচ্ছে বলে খবর। তবে এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত বিভাগ মুখে কুলুপ এঁটেছে।
আরও পড়ুন: এখনও ভেন্টিলেশনে প্রণব, তবে শারীরিক অবস্থা খানিকটা স্থিতিশালী, ট্যুইট করলেন পুত্র অভিজিত
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, ঝোড়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা বহু বছর ধরে এখানকার সুটি নদী থেকে সোনার কণা উত্তোলনের করছেন। সেই কারণে এখানকার নামও দেওয়া হয়েছে সোনাঝুরি। এখানকার নদী থেকে সোনার কণা বেরিয়ে আসে। নদীগুলি থেকে সোনার কণা উদ্ধার হয় বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও খবর পৌঁছেছিল। ২০১০ সাল নাগাদ কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে এই নদী নিয়ে খোঁজখবর নিতেও শুরু করে। সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা আছে, তা জানার জন্য দুটি সমীক্ষাও চালানো হয়েছিল। তবে মাঝ পথেই সেই সমীক্ষা নানান কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার আবারও এদিকে মনোযোগ দিচ্ছে কেন্দ্র। প্রশাসনিক তরফে সোনার খনি খোঁড়ার সবরকম ব্যবস্থাই নাকি শুরু হয়ে গিয়েছে।
আগের সমীক্ষাগুলোতে তেমন ইতিবাচক কোনও ফল এসেছিল এমন নয়। ফলে সরকার আর সোনার খনির খোঁজে এগোয়নি। এখন নতুন করে আবার নদীতে সোনার কুচি মেলায় প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। এবার আবারও এদিকে মনোযোগ দিচ্ছে কেন্দ্র। ঠিক কতটা পরিমাণ সোনা থাকতে পারে, তা জানার জন্য সার্ভে টিম প্রস্তুত করা হচ্ছে।