আজ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা নিয়ে বিরাট দাবি করেছেন অধীর চৌধুরী।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য আজ নয়াদিল্লির ৭, লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকটি বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা এবং কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছিল। প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডের অবসর এবং সম্প্রতি অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের কারণে নির্বাচন কমিশনে দুই নির্বাচন কমিশনারের পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদে নিয়োগের জন্য আজ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা নিয়ে বিরাট দাবি করেছেন অধীর চৌধুরী।
তিনি বলেন জ্ঞানেশ কুমার-বলবিন্দর সান্ধু নির্বাচন কমিশনার হবেন। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের বিপরীতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাছাই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন অমিত শাহ। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মতে, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আমি এবং অর্জুন রাম মেঘওয়ালের নেতৃত্বে সার্চ কমিটির লোকেরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। এমনকি বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে, আমি একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা চেয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম,তালিকাটি হস্তান্তর করা উচিত। কারণ নির্বাচনের আগে সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়। তাই আমি সেই তালিকা চেয়েছিলাম। আমি যদি দিল্লি পৌঁছানোর সাথে সাথে সেই তালিকা পেতাম, আমি প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য পেতাম কিন্তু আমি সেই সুযোগ পাইনি।"
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আরও দাবি করেছেন - আমাকে দেওয়া তালিকায় ২১২ জনের নাম ছিল। আমি গত রাতেই দিল্লিতে এসেছি এবং বেলা ১২ টায় নির্বাচন সভায় যাওয়ার আগে সমস্ত নাম সম্পর্কে জানা সম্ভব ছিল না। এমতাবস্থায় ভাবলাম এই ২১২টি নাম দেখে লাভ কি। আমাদের কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন এবং বিরোধী দলের আমি রয়েছি। শুরু থেকেই এই কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের পক্ষে। বলুন বা না বলুন, এমন পরিস্থিতিতে সরকার যা চাইবে তাই হবে। সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন করা হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।