বুথমুখী নয় রাজধানীর ভোটাররা, ক্রমেই হাসি চওড়া হচ্ছে কেজরিওয়ালের

চলছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

সকাল থেকেই ভোটদানের হার অস্বাভাবিকভাবে কম।

বেলা ২টো পর্যন্ত ২০১৫ সালের থেকে ১৪ শতাংশ কম ভোট পড়েছে।

তাতে চওড়া হচ্ছে কেজরিওয়ালের হাসি।

 

amartya lahiri | Published : Feb 8, 2020 10:08 AM IST / Updated: Feb 08 2020, 03:39 PM IST

শনিবার দিল্লি বিধানসভার ৭০ টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে নামেই ভোট গ্রহণ, কার্যত বুথে বসে মাছি তাড়াচ্ছেন ভোটকর্মীরা। ২০১৫ সালের নিরিখে ব্যাপকভাবে কমেছে ভোটদানের শতাংশ হার। ভোটদানের অর্ধপথে অর্থাৎ বেলা ৩টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৩০.১৮ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। কাজেই এখনও অনেকটাই সময় রয়েছে। কিন্তু, ২০১৫ সালে একই সময়ে যা ভোট পড়েছিল, এবার তার থেকে প্রায় ১৪ শতাংশ কম ভোট পড়েছে।

এদিন সকাল থেকেই ভোটারদের বিশেষ বুথমুখী হতে দেখা যায়নি। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ভোটকর্মীরা কার্যত মাছি তাড়িয়েছেন। প্রথম দুই ঘন্টায় ভোট পড়েছিল মাত্র ৪.৩৩ শতাংশ। তারপরের এক ঘন্টায় অর্থাৎ সকাল ১১টায় তা পৌঁছায় ৬.৯৬ শতাংশে। ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে একটু বেড়েছিল ভোটদানের হার। ১২টার সময় ভোট পড়েছিল ১৫.৬৮ শতাংশ। তারপরের ঘন্টায় ফের পড়ে যায় ভোটদানের শতাংশ হার। পরিসংখ্য়ান গিয়ে দাঁড়ায় ১৯.৩৭ শতাংশে। বেলা ২টোর সময় ভোট পড়েছিল ২৮.১৪ শতাংশ।

সাধারণত দেখা যায় ভোট কম পড়লে সরকারে থাকা দলেরই সুবিধা হয়। সরকারপক্ষের প্রতি সমর্থন থাকলেই মানুষের ভোট দেওয়ার চাগার কম থাকে বলে দেখা গিয়েছে অতীতে। যখন কোনও সরকার বদলাতে আগ্রহী হয় মানুষ তখনই দল বেঁধে বুথমুখী হতে দেখা যায়। দিল্লি ১.৪৭ কোটি মানুষও তার ব্যতিক্রম নন। তাই ভোটদানেরল হার কম দেখে কেজরিওয়ালের মুখের হাসিই চওড়া হচ্ছে। ২০১৫ সালে তারা ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৮টিতে জয়ী হয়েছিল। এইবার সেই আসন তারা ধরে রাখতে পারে কিনা সেটাই দেখার।

 

Share this article
click me!