মোদীর ৬৯তম জন্মদিন, সামনে কিন্তু রয়েছে পাঁচ কড়া চ্যালেঞ্জ, জানেন কী কী

Published : Sep 17, 2019, 05:36 PM IST
মোদীর ৬৯তম জন্মদিন, সামনে কিন্তু রয়েছে পাঁচ কড়া চ্যালেঞ্জ, জানেন কী কী

সংক্ষিপ্ত

নরেন্দ্র মোদীর ৬৯তম জন্মদিন ইতিমধ্যেই জিএসটি চালু নোট বাতিলের মতো বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি তবে সামনে রয়েছে আরও বড় মাপের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ

নরেন্দ্র মোদীর ৬৯তম জন্মদিন। ইতিমধ্যেই জিএসটি চালু নোট বাতিলের মতো বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তবে সামনে রয়েছে আরও বড় মাপের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী -

৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতি

নরেন্দ্র মোদীর সামনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতির হাল ফেরানো। গাড়ি শিল্প থেকে বিস্কুট - সবই খাদের মখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদিনকে প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের মধ্যে বারতকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে চান। যার জন্য অর্থনীতিবিদরা বলছেন এখন থেকে আর্থিক বৃদ্ধি ১২ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে এই মুহূর্তে বৃদ্ধি দাঁড়িয়ে আছে মাত্র ৫ থেকে ৬ শতাংশে।  

রাম মন্দির নির্মাণ

বিজেপির সামনে রাম মন্দির নির্মাণ অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে মামলা চলছে। মোদীর জমন্মদিনের একদিন আগেই আইনি বাধা কাটাতে মোদী সরকারকে এই বিষয়ে আইন পরিবর্তনের বা নতুন আইন প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। আগামী পাঁচ বছরেও যদি রাম মন্দির নির্মাণ করা না যায় তাহলে কিন্তু হিন্দুত্ববাদিদের আস্থা হারাতে হবে।

কাশ্মীরের বিকাশ

৩৭০ ধারা বাতিল করার পিছনে নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীরের উন্নয়নের যুক্তি দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে  নিয়ে এক জন্যই সংবিধানের  জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নে দেশের বাকি অংশের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। শিল্পপতিদের উপত্যকায় বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করেছেন। ফলে আগামী কয়েক বছরে জম্মু কাশ্মীরের সার্বিক উন্নয়ন করা নরেন্দ্র মোদীর সামনে বেশ বড় চ্যালেঞ্জ।
 
এনআরসি

অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চুড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। তবে তালিকা প্রকাশের পরই তাতে প্রচুর ভুল থাকার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন সারা দেশেই লাগু হবে এনআরসি। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা সাগ্রহে সায় দিলেও পশ্চিমবঙ্গের মতো বেশ কিছু রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলগুলি এনআরসি লাগুর বিরোধিতা করছে। এই অবস্থায় দেশের সব নাগরিককে নাগরিকপঞ্জীর আওতায় আনাটা মোদীর কাছে আগামী চ্যালেঞ্জ।

এক রাষ্ট্র এক ভাষা, এক দেশ এক ভোট,

বিজেপির অন্যতম নীতি হল এক দেশ এক ভাষা ও এক দেশ এক ভোট। সারা দেশে একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধঝানসভা ভোট করার পক্ষপাতি বিজেপি। কিন্তু বিরোধী দলগুলির দাবি এতে দেশের ফেডেরাল কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে সদ্য সদ্য হিন্দি ভাষা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কাজেই এই দুই নীতির প্রয়োগই মোটেই সহজ হবে না।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: কলকাতায় পা রাখছেন মেসি থেকে শুরু করে শুভেন্দুর নিশানায় মমতা, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
জনগণনা ২০২৭: ৩০ লক্ষ কর্মী, ১১,৭১৮ কোটি টাকা বাজেট, বিশ্বের বৃহত্তম সমীক্ষা