মাত্র ১৪ বছর বয়সেই যার কীর্তি সমগ্র দেশবাসীর নজর কেড়েছিল, তিনিই হলেন হর্ষবর্ধন জালা। হর্ষবর্ধন ঠিক কী তৈরি করেছিলেন যারা এখনও জানেন না চলুন একবার জেনে নেওয়া যাক। গুজরাতের হর্ষবর্ধন একটি ড্রোন ডিজাইন করেন যার প্রোডাকশনে গুজরাত সরকারের সঙ্গে তার ৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়। এত কম বয়সে এই ধরণের একটি কাজ তাকে যেমন লাইমলাইটে নিয়ে আসে, তেমনই তার দায়িত্বও বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি।
কী ধরণের এই ড্রোনটি?
এই ড্রোন এতোটাই উন্নত মানের যে যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন শত্রুপক্ষের ল্যান্ড মাইনের খোঁজ দিতে পারবেন এটি তেমনই সেগুলি নিষ্ক্রিয় করতেও সাহায্য করবে এটি। জানা যায়, এই ড্রোনের প্ল্যান নিয়ে ২০১৬ সালে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি এবং সেই সঙ্গে ছিল তার ব্যবসার পরিকল্পনাও।
কীভাবে এই ড্রোন তৈরির পরিকল্পনা মাথায় এল?
হাত দিয়ে ল্যান্ডমাইন নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বহু সময়ই সেনা জওয়ানরা আহত হন। এমনকি তাদের প্রাণও গিয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। এই বিষয়টি হর্ষবর্ধনকে এর সমাধান বের করার ক্ষেত্রে ভাবতে জোর করেছিল। হর্ষবর্ধন মাইন ডিটেক্টর নিয়ে নিজের মতো করে পড়াশোনা শুরু করেন। আর সেই পড়াশোনার মাঝেই ড্রোনের আইডিয়া তার মাথায় আসে বলে জানা যায়।
এই ড্রোন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয় হর্ষবর্ধনের। প্রথম দুটি ড্রোনের জন্য তার বাবা-মা প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছিলেন। এবং তৃতীয়টির জন্য রাজ্য সরকারের থেকে ৩ লক্ষ টাকার অনুদান পেয়েছিলেন তিনি।
এই ড্রোনের বিশেষত্ব কী?
হর্ষবর্ধনের এই ড্রোনে মেকানিক্যাল শাটর দেওয়া ২১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার সঙ্গে ইনফ্রারেড, আরজিবি সেনসর, এবং থার্মল মিটার রয়েছে। এই ক্যামেরা দিয়ে হাই রেজলিউশনের ছবি তোলা সম্ভব। ড্রোনটি মাটি থেকে ২ ফুট ওপরে উড়তে সক্ষম। ল্যান্ড মাইনের অবস্থান এই ড্রোনই পাঠিয়ে দেবে বেস স্টেশনে। এই সব ল্যান্ড মাইনকে ধ্বংস করতে ড্রোনটি ৫০ গ্রাম ওজনের বোমাও নিজের সঙ্গে বহন করতে সক্ষম।
উল্লেখ্য, জানা যায়, ছ বার ব্যর্থ হন এই ড্রোন তৈরিতে। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। সপ্তমবার তিনি ফের চেষ্টা করেন এবং সফল হন