কয়েক মাস স্বাভাবিক অবস্থা থাকার পর ফের দেশে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্কবার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।
চিন-সহ কয়েকটি দেশে ফের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে। এই দেশগুলির মধ্যে আছে ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান।এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য নতুন করে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখে জরুরি ভিত্তিতে সক্রিয় করোনা আক্রান্তদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাবরেটরিতে জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চকেও সতর্ক করে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'এখন করোনার কোন ভ্যারিয়ান্ট সক্রিয়, সেটা জানার জন্য সক্রিয় করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা জরুরি। সেই কারণেই রাজ্য সরকারগুলিকে জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষা করা হলে ঠিক সময়ে জানা যাবে দেশে করোনার নতুন কোনও ভ্যারিয়্যান্ট ছড়িয়ে পড়েছে কি না। জনস্বাস্থ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।'
চিন সরকার করোনা রোখার জন্য কঠোর লকডাউনের নীতি নিয়েছিল। কিন্তু দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় সেই কঠোর লকডাউন শিথিল করতে বাধ্য হয়েছে শি জিনপিং সরকার। এরপরেই ফের চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এরিক ফিগল-ডিং নামে এক এপিডেমিওলজিস্ট দাবি করেছেন, চিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট পরীক্ষা করে দেখছে। নতুন ভ্যারিয়্যান্ট কতটা বিপজ্জনক, সেটাই বোঝার চেষ্টা করছেন গবেষকরা।
২০১৯ সালের শেষদিকে চিনে প্রথম করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের বেশ কয়েকটি ভ্যারিয়্যান্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। চিন থেকে ইতালি, ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য লকডাউন জারি করা হয়। সেই পরিস্থিতি যাতে না ফিরে আসে, সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিভিন্ন রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন কত, সেটা নির্ধারণ করার পাশাপাশি ভ্যারিয়্যান্ট জানার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গত কয়েক মাসে মানুষের মন থেকে করোনা নিয়ে উদ্বেগ দূর হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই ফেস মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছেন। তার ফলেই সংক্রমণ বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন-
আবারও কি ফিরে আসবে করোনাভাইরাস? এখন থেকেই Omicron BF7 কে নিয়ে সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা
শেষ হয়নি মহামারী-নতুন করে ফিরে আসতে পারে করোনা! বিবৃতি জারি করে কী জানাল WHO
মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস চিনবে ভারতীয় টেস্ট কিট, জিনস্ টু মি-এর দুর্দান্ত আবিষ্কার