করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে ভিন্ন সুর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইনে , ৭ লক্ষ আক্রান্ত নিয়ে কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত

করোনাভাইরাস কী গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে 
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইনে তেমনই দাবি
 মানতে নারাজ আইসিএমআর
 

লকডাউনের ১০৫ দিনে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজারেও বেশি মানুষের। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মহামারি গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছেছে কীনা তা নিয়ে আবারও শুরু হয়েগেছে জল্পনা। দিল্লি, কর্ণাটক, কেরলসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা মানতে নারাজ। তবে সম্প্রতি জারি করা  স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি গাইডলাইন বলছে অন্য কথা। 


গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রকাশিত গাইডলাইনে বলা হয়েছে, এপ্রিলের প্রথম দিকেই ভারত মহামারির গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। সেই নোটে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে ২০২০ সালের এপ্রিলের গোড়ার দিকেই ভারতে সীমিত সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার পর্যায়ে রয়েছে মহামারি।  সংক্রমণ কী করে ছড়িয়ে পড়েছে তার কোনও ধারনা নেই।  মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত একটি বড় অংশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলিকে কী ঘটছে তার প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর রাখা জরুরি। পাশাপাশি আগামী দিনে কী কী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তার কল্পনা করে রাখতে হবে। সাধারণ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ মনোবিদের জন্য জারি করা নির্দেশিকায় তেমনই বলা হয়েছে। নির্দেশিকাটি জারি করা হয়েছে হত ৪ জুলাই। তবে এই গাইডলাইন নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় সরকার। 

Latest Videos

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী মরামারি গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে তখনই উন্নীত হবে যখন একটি বড় সংখ্যক আক্রান্ত রোগীর রোগের উৎস খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক সম্পর্কযুক্ত ক্লাস্টার তৈরি হলে। আর ইউএস সেন্ট্রাস অফ ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে গোষ্ঠী সংক্রমণ তখনই হবে যখন সংক্রমণের উৎস সন্ধান পাওয়া যাবে না। 

তবে গাইডলাইনে যে বিবৃতি দেওয়া রয়েছে তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য। গত ১১ জুন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল মেডিক্যাল রিসার্চের ডিজি বলেছেন ভারত অনেক বড় দেশ, কিন্তু তুলনায় করোনাভাইরাসে বিস্তার অনেক কম। ছোট জেলাগুলিতে আক্রান্তে সংখ্যা এক শতাংশেরও কম। শহর ও কনটাইমেন্ট এলাকাগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সুতরাং ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণের কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও তিনি দাবি করেছিলেন। 

কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় খুবই অল্প সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। লকডাউনের কারণে করোনা সংক্রমণের বিস্তার আটকে রাখা সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'জঙ্গিরা ধরা তো পড়ছে, তাহলে আর চিন্তার কি আছে?' হাসতে হাসতে উত্তর রচনার | Rachna Banerjee News
Suvendu Adhikari Live : বিধানসভার বাইরে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী, সরাসরি | Bangla News
'মমতা পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি রোহিঙ্গা ঢুকিয়েছে', বিস্ফোরক মন্তব্য Suvendu Adhikari-র
'তৃণমূলের শান্তির ছেলেরা প্রমাণ লোপাট করেছে' | Suvendu Adhikari | #shorts #suvenduadhikari #rgkar
এ যেন লুকোচুরি খেলা! ক্ষণে ক্ষণে স্থান পরিবর্তন, এখনও অধরা বাঘিনী যমুনা | Jhargram Tiger News