রীতিমত হুংকার ছাড়ছেন ক্যান্টেন অমরিন্দর সিং। তিনি বলছেন. এইভাবে তাঁকে যদি সাইডলাইনে রাখা হয় তাহলে তিনি অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।
ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই প্রকট হচ্ছে পঞ্জাবের গোষ্ঠী কোন্দল। দূরত্ব বাড়ছ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং আর কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধুর মধ্যে। এই অবস্থায় রীতিমত হুংকার ছাড়ছেন ক্যান্টেন অমরিন্দর সিং। তিনি বলছেন. এইভাবে তাঁকে যদি সাইডলাইনে রাখা হয় তাহলে তিনি অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। সূত্রের দাবি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন। আগামী বছর পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। দলীয় কোন্দল প্রকাশে আসায় যা যে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল তাই দেখুনঃ
১. সূত্রের খবর কংগ্রেসের ৪০ জনেরও বেশি বিধায়ক কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছেন। তাঁদের দাবি ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে সরিয়ে দিতে হবে।
২. এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমত হুংকার ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংএর। তিনি সরাসরি সনিয়া গান্ধীকে বলেছেন এজাতীয় অপমান সহ্য করে তিনি আর দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
৩. কংগ্রেস সভানেত্রী অমরিন্দর সিং আরও বলেছেন 'যথেষ্ট হয়েছে'। এই নিয়ে তাঁকে তৃতীয়বার অপমান করা হয়েছে। সূত্রের খবর তিনি পদত্যাগ করতেও চেয়েছেন।
৪. তবে অমরিন্দর সিং এখনও পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি। তবে কংগ্রেস যে ভাঙছে সেই দাবি উঠছে। এই অবস্থায় কংগ্রেসকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতেও হতে পারে।
৫. এই অবস্থায় রাজ্যপাতল রাজনৈতিক অস্থিতরা ও কৃষি বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে পঞ্জাবে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করতে পারে।
৬. অমরিন্দর সিং তাঁর অনুগামী কংগ্রেস বিধায়কদের একত্রিত করতে একটি সভা ডেকেছেন।পঞ্জাব বিধানসভা ১১৭ জন সদস্য রয়েছে। আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন।
৭. এদিন সন্ধ্যে বেলা বৈঠক রয়েছে কংগ্রেসের। এই বৈঠকেই হেস্তনেন্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল । পঞ্জাবের ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তাও স্থির হতে পারে এদিন সন্ধ্যেবেলা।
৮. কংগ্রেস নেতা সুনীল জাখর জানিয়েছেন পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে যেকোনও মুহূর্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে পারেন অমরিন্দর সিং। তবে ক্যাপ্টেনের অনুগামীরা রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
৯. নভজ্যোৎ সিং সিধুর সঙ্গে অমরিন্দরের বিবাদ দীর্ঘ দিনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লি নেতৃত্ব সিধুকে পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু তাতেও যে তেমন কোনও লাভ হয়নি তা আবারও সামনে এল।
১০. সূত্রের খবর বর্তমানে সিধুর অনুগামীদের দাবি বিধানসভা নির্বাচনে সুনীল জাখর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে সামনে রেখে ভোটে লড়তে হবে। আর কংগ্রেসের রাশ থাকবে সিধুর হাতে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা চায় বলেও দাবি করা হয়েছে।