হিজাব বাধ্যতামূলক নয়, কর্নাটক সরকারের সওয়াল কর্নাটক হাইকোর্টে

হিজাব ইস্যুতে শুনানি চলছে কর্নাটক হাইকোর্টে। মঙ্গলবার কর্নাটক সরকার হাইকোর্টে সওয়াল করার সময় জানিয়েছে, ভারতে হিজাব পরার ওপর কোনও বিধিনিষেধ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, হিজাব বা স্কার্ফ পরার অধিকার 19(1)(A) নম্বর ধারায় পড়ে।

Web Desk - ANB | Published : Feb 22, 2022 2:38 PM IST / Updated: Feb 22 2022, 08:26 PM IST

হিজাব ইস্যুতে (Hijab Row) শুনানি চলছে কর্নাটক হাইকোর্টে (Karnataka HC)। মঙ্গলবার কর্নাটক সরকার (Karnataka Govt) হাইকোর্টে সওয়াল করার সময় জানিয়েছে, ভারতে হিজাব পরার ওপর কোনও বিধিনিষেধ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, হিজাব বা স্কার্ফ পরার অধিকার 19(1)(A) নম্বর ধারায় পড়ে। এটি কখনই ২৫ নম্বর ধারার অন্তর্গত নয়। এদিন হাইকোর্টের কর্নাটক সরকারের হয়ে সওয়াল করার সময় এমনই মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিং নাভাদগি। 

উদুপি জেলার আবেদনকারী মুসলিম মহিলাদের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, যদি কেউ হিজাব পরতে চায় তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা সাপেক্ষে কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে হিজাব বা স্কার্ফ পরার অধিকার 19(1)(A) নম্বর ধারায় পড়ে তাই এটি 19 (2) অনুচ্ছেদের সঙ্গে এটি সম্পর্ক যুক্ত। যা সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার সাপেক্ষে একটি যুক্তিসংগত সীমাবদ্ধতা রাখে। তাই এটি এটি যেহতু অপরিহার্য নয় তাই এটি ক্লাসরুমে পরাও জরুরি নয় বলেও সওয়াল করেছেন তিনি।   

গতকাল কোরানের উদ্ধৃতির যুক্তিও হাইকোর্টে খারিজ করা হয়েছে। আগের শুনানিতে, আবেদনকারীরা কোরানকে ইসলামের একটি বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী বলেছিলেন যে হিজাবের অনুমতি না দেওয়া কোরান নিষিদ্ধ করার সমান। সে সময়ও কোরানে কোথায় লেখা আছে তা দেখাতে ছাত্রীদের আইনজীবীকে বলেছিল হাইকোর্ট। সোমবার শুনানির সময়, এজি নাভাদগি বলেছিলেন যে আবেদনকারীরা কোরান নিয়ে কথা বলেছেন, আমিও তাদের যুক্তির জবাব দেব। নাভাদগি আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন ছাত্রীদের আবেদনটি আগের রায়ের ভিত্তিতে, বিশেষ করে শবরীমালা মামলায় পরীক্ষা করার জন্য।

অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, অতীতে অনেক ক্ষেত্রে কোরানকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, তবে আমি এমন চারটি মামলার উদ্ধৃতি দিচ্ছি যেখানে সুপ্রিম কোর্ট কোরানে প্রদত্ত রেফারেন্স প্রত্যাখ্যান করেছে।

বর্তমানে হিজাব ইস্যুতে উত্তাল কর্নাটকের বিস্তীর্ণ এলাকা। হিজাব বিতর্কের কারণে ব্যবহত হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিষেবা। অধিকাংশ স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। হিজাবের পাল্টা হিন্দু পড়ুয়া গেরুয়া শাল পরে ক্লাস করার দাবি জানিয়েছে। যদিও কর্নাটক হাইকোর্ট অন্তবর্তীকালীন রায়ে বলেছেন আপাতত হিজাব বা গেরুয়া শাল  না পরেই ক্লাস করার জন্য। কিন্তু কয়েক জন ছাত্রী জানিয়েছেন তাঁদের কাছে রায়ের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বিশ্বাস। নিজেদের বিশ্বাসে অনড় থেকে ক্লাস করছেন না তাঁরা। 

Share this article
click me!