কংগ্রেসের ভাঙনকে টাইটানিকের সঙ্গে তুলনা, জিতিন প্রদাসের দল বদলকে স্বাগত জানালেন সিন্ধিয়ারা

  • কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ 
  • তালিকাটা ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে 
  • হেমন্ত বিশ্বশর্মা থেকে শুরু 
  • বড় নাম জ্যোতিরাদিত্য় সিন্ধিয়া 
     

কংগ্রেসের ভাঙনের তালিকায় আরও একটা নাম জুড়ল। তিনি হলেন জিতিন প্রসাদ। দীর্ঘ দিন ধরেই কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিল। বুধবার তিনি কংগ্রেস থেকে পদ্ম পাতাকা হাতে তুলে নেন। তারপরই অবশ্য জিতিন প্রসাদ কংগ্রেস সম্পর্কে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বিজেপিও যে তাঁকে রীতিমত গুরুত্ব দিচ্ছে তাও অবশ্য দলবদলের প্রথম দিনেই বোঝা গেছে। এদিন জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদ। 

এক নজরে দেখে নেব উজ্বল প্রাক্তন কংগ্রেস নেতাদের তালিকাঃ

হেমন্ত বিশ্বশর্মা
২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। মূলত রাহুল গান্ধীসহ অসমের প্রথম সারির কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে দল ছেড়েছিল  ১০ বিধায়কও। অসমের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন হেমন্ত বিশ্বশর্মার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রবল বাসনা ছিল। যা সেই সময় মেনে নেয়নি কংগ্রেসের দিল্লির নেতারা। কিন্তু তার পর থেকেই হেমন্ত বিশ্বশর্মা ক্রমশই শক্ত করেছিলেন বিজেপির হাত। তারই ফলস্বরূপ পরপর দুবার অসমের ক্ষমতা দখল করতে পেরেছে বিজেপি। হেমন্ত বিশ্ব শর্মার কাজের স্বীকৃতি দিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীও করা হয়েছে। জিতিন প্রসাদের দলবদলকে হেমন্ত বিশ্বশর্মা টাইটাইনের ভরাডুবির সঙ্গেই তুলনা করেছেন। 

 

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
কংগ্রেস হাই প্রোফাইল নেতা। রাহুল ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও করা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতাকে। কিন্তু তারপরেই দল ছাড়ে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বর্তামানে বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ সিন্ধিয়া। জিতিন প্রদাসের বিজেপিতে যোগদানকে তিনি স্বাগত জাবিয়েছেন। ২০১৯ সালের ২২জন বিধায়ক নিয়ে দলত্যাগ করেছিলেন সিন্ধিয়া। তারপর থেকেই মধ্যপ্রদেশে ক্রমশই দুর্বল হচ্ছে কংগ্রেস। 

প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি নয়, শিবসেনাতে যোগ দিয়েছেন ২০১৯ সালে। যুদ কংগ্রেসের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সোশ্যল মিডিয়া সেলের দায়িত্ব সামলে ছিলেন কংগ্রেসের হয়ে। কিন্তু দল বদলের তিনি তিনি এখন শিবসেনার রাজ্যসভার সদস্য। 

টম বড়াক্কন
কংগ্রেসের জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ মুখপাত্রদের মধ্যে একজন ছিলেন টম বড়াক্কন। কিন্তু কংগ্রেসে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। কাজ করা যাচ্ছিল না। এই অভিযোগ তুলে ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই তিনি আস্থা রেখেছেন বলেও বারবার জানিয়েছেন। 

রীতা বহুগুনা
২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রীতি বহুগুনা। কংগ্রেস সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আস্থা হারিয়েছে বলেও একাধিকবার দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেরও তীব্র সমালোচক ছিলেন রীতি। তাই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও তাঁর বনিবনা হয়নি সেভাবে। 

পেমা খাণ্ডু
অরুণাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেতা পেমা খাণ্ডু ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। অরুণাচনের আর্থিক সংকট ও পিছিয়ে করার কারণ হিসেবে কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপি উত্তর পূর্বভারতের দিকে অনেক বেশি মনোনিবেশ করেছিল। 

বীরেন সিং
২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বীরেন সিং। দল চালানোর পদ্ধতি তাঁর পছন্দ ছিল না এই অভিযোগ তুলেই বিজেপিতে গিয়েছিলেন তিনি। 

Share this article
click me!

Latest Videos

সামান্য ডিম 'চুরি' সন্দেহে এত বড় কাণ্ড ঘটবে কেউ বুঝতে পারেনি! | Shantipur News Today | Bangla News
Konnagar-এ অবৈধ জলের কারবার ফাঁস! হাতেনাতে পাকড়াও অবৈধ ব্যবসায়ীদের, দেখুন | Hooghly News Today
'Bangladesh-এ Israel-এর মতো অ্যাকশন করতে হবে!' বিস্ফোরক Suvendu Adhikari #shorts #shortsvideo
'আপনার লজ্জা লাগেনা মমতা! ভোটার লিস্টে নাম, জঙ্গিরা দিচ্ছে ভোট' জোর ঠুকলেন Suvendu Adhikari | BJP
বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে Mamata-কে প্রশ্ন Suvendu-র, পাল্টা ক্ষোভ উগরালেন Kunal Ghosh