নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে অশান্তি আশঙ্কা ছিল। শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে আটক করল পুলিশ। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেওয়ার মাঝে তাঁকে রীতিমতো টেনে-হিঁচড়ে পুলিশের জিপে তোলা হয় বলে জানা গিয়েছে। আটক করা হয়েছে আরও ৩০ বিক্ষোভকারীকে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। অশান্তির আশঙ্কা বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন জায়গায় বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্নাটক সরকার। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই পথে নেমেছেন বহু মানুষ। শহরের টাউন হলের কাছে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে শামিল হন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। রামচন্দ্র গুহ-সহ আটক করা হয় ৩০ জনকে।
রামচন্দ্র গুহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'সংবাদমাধ্যমে সংবিধান নিয়ে বলার সময়ে আমাকে আটক করল পুলিশ। আমার হাতে গান্ধীজীর একটি প্ল্যাকার্ড ছিল। দেশের কি স্বৈরতন্ত্র চলছে?' তাঁর অভিযোগ, আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ করছিলাম। কোনও অশান্তি হয়নি। কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনেই পুলিশ এমন কাজ করেছে। ' এদিকে আবার বেঙ্গালুরুতে ১৪৪ ধারা জারির জন্য কংগ্রসকে দায়ী করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা।
এদিন সকাল থেকে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লিও। অশান্তি ঠেকাতে ১৪টি মেট্রো স্টেশন-সহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লালকেল্লা চত্বর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। নিষেধাজ্ঞা সকালে লালকেল্লা সামনে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হতেই পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। মান্ডি হাউস এলাকায় নামানো হয় র্যাফও।