ব্রজের সবচেয়ে বিখ্যাত হোলি হল লাঠমার হোলি, ছড়ি মার হোলি, ফুল হোলি আর লাড্ডু হোলি। এই প্রত্যেকটি নিয়ম চলতে থাকে একটানা ৪০ দিন ধরে।
সারা ভারত জুড়ে লক্ষ লক্ষ জায়গায় বিভিন্ন রূপে পালিত হয় দোল বা হোলি (Holi 2024) উৎসব। তবে, সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে ব্রজের হোলি। প্রভু শ্রী কৃষ্ণের পদধূলি সমৃদ্ধ মথুরা বৃন্দাবনে এই রঙের উৎসব চলতে থাকে একটানা ৪০ দিন ধরে।
ফাল্গুন মাসে বসন্ত পঞ্চমীর সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় ব্রজের হোলি, বরসানা, মথুরা, বৃন্দাবন, নন্দগাঁও সহ বহু অঞ্চলে এসে জমায়েত হন সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ। এখানে বিভিন্ন ধরনের হোলি খেলা হয়। মানুষ সবকিছু ভুলে গিয়ে রাধা-কৃষ্ণের ভক্তিতে মগ্ন হয়ে যান। ব্রজে হোলিকে বলা হয় ‘হোরা’। অন্য সব জায়গায় হোলি শুধুমাত্র ভেজা বা শুকনো রং দিয়ে উদযাপন করা হয়, কিন্তু, ব্রজের মানুষদের হোলি খেলার ধরন আলাদা। তার পেছনে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাস।
ব্রজের সবচেয়ে বিখ্যাত হোলি হল লাঠমার হোলি, ছড়ি মার হোলি, ফুল হোলি আর লাড্ডু হোলি। ২০২৪ সালের ১৮ মার্চে রয়েছে লাঠমার হোলি। মূলত হোলি উৎসবের ৭ দিনে ব্রজে একটি আলাদা জৌলুস তৈরি হয়। যা শুরু হয় বরসানা লাড্ডুস এবং লাঠমার হোলি দিয়ে। তার পরেই সমস্ত প্রধান মন্দিরে হোলির বিভিন্ন উৎসব পালিত হয়।
ব্রজের হোলির সম্পূর্ণ ক্যালেন্ডার
১৭ ই মার্চ- ফাগ মন্ত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে এবং। লাড্ডু হোলি রাধা রানী মন্দির, বরসানা
১৮ মার্চ - বিকাল ৪:৩০ টা থেকে লাঠমার হোলি (রাধা রানী মন্দির, বরসানা)
১৯ মার্চ - লাঠমার হোলি বিকেল ৪:৩০ টা থেকে (নন্দগাঁও)
২০ মার্চ - ফুলওয়ালি হোলি বিকেল ৪ টা থেকে (বাঁকে বিহারী) মন্দির , বৃন্দাবন)
২০ মার্চ - দুপুর ১ টা থেকে ২১ মার্চ কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দিরে অনুষ্ঠান- দুপুর ১২ টায় (গোকুল)
২৩ মার্চ - ১২ টায় রাধা গোপীনাথ মন্দির, বৃন্দাবনে বিধবা হোলি
২৪ মার্চ - বাঁকে বিহারীতে হোলিকা দহন ফুল কি হোলি ২৫ মার্চ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১:৩০ টা পর্যন্ত - মথুরায় প্রধান হোলি এবং
২৬ মার্চ বৃন্দাবন - বলদেবের হুরাঙ্গা হোলি দুপুর ১২:৩০ থেকে পালিত হবে দাউজি মন্দিরে।