বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে ওমিক্রন। গ্রিক বর্ণমালার আলফা, ডেল্টার মতোই নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের কোড নাম দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্ব (World) জুড়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) নতুন রূপ (new coronavirus variant) ওমিক্রন (Omicron)। ভারতেও (India) নেওয়া হচ্ছে একাধিক সতর্কতা। করোনা ভাইরাসের এই রূপটি প্রভাবশালী ডেল্টা রূপের (Delta Varient) থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে বৈকল্পিকটি বেছে নিয়েছেন এবং এটি নিয়ে কাজ করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে ওমিক্রন। গ্রিক বর্ণমালার আলফা, ডেল্টার মতোই নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের কোড নাম দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই ভ্যারিয়েন্টটি মিউটেট বা তার রূপ পরিবর্তন করেছে অনেকভাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন সর্বশেষ এই ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়েও বিপজ্জনক। কোভিড জীবাণুর সবচেয়ে বেশি মিউটেট হওয়া সংস্করণ ওমিক্রন। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা একে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নতুন কোভিড-১৯ রূপের নামকরণ করেছে B.1.1.529। এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে। 'Omicron' হিসাবে পরিচিত করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কেন এতোটা ভয়াবহ?
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খবরে বিভিন্ন দেশের বিমনাবন্দরে জারি হয়েছে নতুন সতর্কতা। এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডি অলিভিয়েরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মিউটেট করেছে ৫০ বার। আর এর স্পাইক প্রোটিন বদলেছে ৩০ বার। মানুষের দেহের মধ্যে ঢুকতে কোভিড ভাইরাস এই স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে। এবং করোনার ভ্যাকসিন সাধারণত এই স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়।
ভাইরাসের যে অংশটি প্রথম মানুষের দেহকোষের সঙ্গে সংযোগ ঘটায় তার নাম ‘রিসেপ্টার বাইন্ডিং ডোমেইন’। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সেই রিসেপ্টার বাইন্ডিং ডোমেইনে মিউটেশন ঘটিয়েছে ১০ বার। সেই তুলনায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে এই পরিবর্তন হয়েছে মাত্র দু’বার।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এ ধরনের মিউটেশন সম্ভবত একজন রোগীর দেহের জীবাণু থেকে এসেছে, যিনি এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে পারেননি।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের লক্ষ্মণ কী
দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ার অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন তিনি গত ১০ দিন ধরে প্রায় ৩০ জন রোগীর চিকিৎসা করেছেন। যাদের প্রত্যেকেই করোনা ভাইরাসের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করেছিলেন। তাদের মধ্যে বেশ কিছু অপরিচিত লক্ষণ রয়েছে। একই সঙ্গে ওমিক্রনে আক্রান্তদের লক্ষণ সম্পর্কেও একটি স্পষ্ট ধারনা দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন করোনার ওই স্ট্রেইনে আক্রান্তদের মধ্যে প্রবল ক্লান্তি ছিল, পেশীতে মৃদু ব্যাথা, গলা ব্যাথা ও শুকনো কাশি হবে। তিনি আরও বলেছেন, বেশ কয়েকজনের সামান্য জ্বর ছিল।
ডা. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েজি আরও জানিয়েছেন, তিনি এখন পর্যন্ত যত রোগী দেখেছেন তাদের সবার টিকা নেওয়া হয়নি। তাদের ওমিক্রনের হালকা লক্ষণ ছিল। তার মতে, ইউরোপের বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনার এই নতুন প্রজাতি দ্বারা সংক্রামিত। এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন দ্বারা সংক্রামিত বেশিরভাগ রোগীর বয়স ৪০ বছরের কম।