কী করে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন আপনার বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের, রইল তারই টিপস

  • করোনাভাইরাস থেকে প্রবীণ রক্ষার উপায়
  • নিজে পরিষ্কার থাকুন, পরিবারের বাকি সদস্যদেরও পরিষ্কার রাখুন
  • বিশেষ যত্ন নিন প্রবীণদের
  • বাইরে যেতে নিষেধ করুন প্রবীণদের 

Saborni Mitra | Published : Mar 20, 2020 9:35 AM IST

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে বয়স্কদের। কারণ তাঁদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা খুব কম। আর এই জীবনু খুব তাড়াতাড়ি চরিত্র বদল করে। তাই মাল্টি অর্গানফেলিওয়ের দিকে নিয়ে যেতে খুব একটা বেশি সময় নেন না। তাই বয়স্ক মানুষ বেশিক্ষণ এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পারেন না। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের সকলেরই বয়স ৬০-এর বেশি। তাই এই সময়টা বাড়ির বয়স্ক ব্যক্তিদের সচেতন রাখা ও যত্নে রাখা অত্যান্ত জরুরি। কিন্তু কী করবেন আপনি, আপনার বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি অথবা দাদু ঠাকুমার জন্য? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও করোনার জীবানুর প্রকোপ থেকে বয়স্কদের বেশি সাবধানে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। 

কী করবেন?
১. প্রথমেই মনে রাখুন বাইরে থেকে ফিরে আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ কখনই বয়স্ক ব্যক্তিদের কাছে যাবেন না। প্রথমে নিজের হাত ভালো করে পরিস্কার করে, বাইরের জামা কাপড় ছেড়ে তারপরই বয়স্ক ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসুন। 
২. বা়ড়িতে বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে এই সময়টা তাদের খুব কাছাকাছি যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 
৩. খুব প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির বসস্ক ব্যক্তিদের বাইরে বার হতে নিষেধ করুন। প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গেলেও তাঁরা যেন সর্বদা মাস্কের ব্যবহার করে সেই দিকে নজর দিন। 
৪. প্রতিদিন বাড়ির ষাটোর্দ্ধ ব্যক্তির জামা কাপড় ডিটারজেন্ট পাউজার দিয়ে কেচে ব্যবহার করতে বলুন। 
৫. বাড়ির প্রবীণ মানুষদের ব্যবহারের জিনিসগুলি যেমন- তোয়ালে, সাবান, গ্লাস, থালা সর্বদা আদালা রুখুন। পারলে সেগুলি গরম জলে ধুয়ে  ব্যবহার করা ভালো। 
৬. প্রবীণজের জন্য অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। 
৭. বাড়ির দরজা-জানলার হাতলগুলি নিয়মিত পরিষোধন করুন। 
৮. বাড়ির কোনও সদস্যের যদি জ্বর সর্দি বা ফ্লু হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে অবস্যই গৃহবন্দি করে রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিন্তু কখনই সেই সদস্যকে প্রবীন ব্যক্তির কাছাকাছি যেতে দেবেননা। আপনিও যদি সংক্রমিত হন তাহলেও নূন্যতম এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন আপনার পরিবারের প্রবীন ব্যক্তির থেকে। 
৯ বাড়িতে যদি কোনও প্রবীণ ব্যক্তি ক্যান্সার, ডায়াবেটিক, হার্ট অথবা কিডনির রোগী হন তাহলে রীতিমত গুরুত্ব সহকারে তাঁর পরিচর্যা করুন। 
১০. বাইরের কোনও ব্যক্তির সামনে বাড়ির প্রবীণ মানুষদের যেতে না দেওয়াই উচিৎ। কিন্তু প্রবীণ সদস্যরা যদি চলেও যান তাহলে পরবর্তী সুরক্ষা নিতে হবে জরুরী ভিত্তিতে। 

ভারতের অধিকাংশ মানুষ এখনও একান্নবর্তী পরিবারে বাস করেন। তাই করোনাভাইরাসের থেকে পরিবারের প্রবীণদের রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

Share this article
click me!