রবিবার ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল দুটি করোনাভাইরাসের টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। একটি হল অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকার বিকাশ করা কোভিশিল্ড। অন্যটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। ডিসিজিআই এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুটি টিকাই নিরাপদ, তাই জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ভারতে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কী ভাবে টিকাকর্মসূচি চালান হবে তারই একটি নক্সা তুলে ধরা হল।
প্রথম যাঁরা টিকা পাবেন
কেন্দ্রীয় সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একধিকবার জানিয়েছে প্রথম করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে স্বাস্থ্য কর্মীদের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, দেশের এক কোটিরও বেশি চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। প্রথম পর্বের তালিকায় রয়েছে ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধা, পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষীরাও। প্রথম পর্বে ৫০ বছরের বেশি বয়েস্ক ও কমরেবিডিটি যুক্ত ব্যক্তিদেরও টিকাকরণ করা হবে।
বয়েস্কো ব্যক্তিদের করোনা টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে বয়সের সংশাপত্র জমা দিতে হবে।
করোনা ভ্যাক্সিনের জন্য নাম নথিভুক্ত করার পদ্ধতি
টিকা গ্রহণের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে স্বনিবন্ধন করা হবে।
১. কো-ইউন ওয়েবসাইটের স্বনিবন্ধন করাতে হবে।
২. ফোটো আইডি প্রুফের জন্য আপলোড করতে হবে আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্বাস্থ্য বিমা স্মার্ট কার্ড, বা মনরেগা, জবকার্ড। বিধায়ক বা সাংসদ প্রদত্ত সরকারি শাংসাপত্রও গ্রহণ করা হবে।প্যানকার্ড বা ব্যাঙ্কের পাসবই চলবে।
৩. কোনও ব্যক্তি যদি ফোটা আইডি হিসেবে আধার কার্ড দেয় তাহলে কো ইউন সিস্টেম একটি আধার প্রমাণীকরণ এডিট করতে হবে। কোনও ব্যক্তি নিম্মলিখিত পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি প্রমানীকরণের পগদ্ধতি নির্বাচন করতে পারে সেগুলি হল বায়োমেট্রিক, টিপি, ডেমোগ্রাফিক।
৪. নাম নথিভুক্ত করার পর টিকা দেওয়ার জন্য একটি সময় ও তারিখ বরাদ্দ করা হবে।
৫. ভ্যাক্সিন সাইটে কেবলমাত্র সুবিধেভোগীরাই অগ্রাধিকার হিসেবে টিকা দেওয়া হবে। স্পট অন রেজিস্ট্রেশনের কোনও ব্যবস্থা থাকছে না।
কো-উইন (Co-win)সিস্টেম
কো ইউন হল ইলেক্ট্রনিক্স ভ্যাক্সিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক মডিউল। কোভিড ভ্যাক্সিন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ, মূল্যয়নের জন্য তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় স্তরে সমস্ত তথ্য রয়েছে সেখানে। এখানে নাম নথিভুক্ত হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিকে সুবিধেভোগী ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট দিনে ও সময় করোনাটিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
ভ্যাক্সিন প্রদান করবে যাঁরা
সব মিলিয়ে মোট পাঁচ জন থাকবেন প্রতিটি ভ্যাক্সিন সাইটে। যার মধ্যে একজন ভ্যাক্সিনেটর অফিসার থাকবেন। প্রতিটি সাইটে একজন করে পুলিশ অথবা নিরাপত্তা রক্ষী থাকবে। ভ্যাক্সিন কেন্দ্রীয়ই পরিচয় পত্র যাঁচাইয়ের ব্যবস্থা থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে টিকাপ্রদানের ঘর ছাড়াও অপেক্ষার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনেই টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি সাইটে শুধুমাত্র পূর্ব নাম নথিভুক্ত থাকবে এমন মানুষদেরই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
ভ্যাক্সিন ট্র্যাকিং
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কো ইউন সিস্টেমের মাধ্যমে টিকা গ্রহণকারীদের ট্র্যাকিংএরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও ভ্যাক্সিনের কোন ব্যাচের কত নম্বরের ডোজ কোন ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য রাখা থাকবে কো-ইউন সিস্টেমে।