গজরাজ 'মহারাজ'-র অবাধ বিচরণ সেনাঘাঁটিতে , সেনা বাহিনীও সমঝে চলে- দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও

Published : Jun 11, 2023, 11:07 PM IST
 Humans and elephants co-exist in Assam Narangi military station no conflict watch the viral video

সংক্ষিপ্ত

নারাঙ্গির সেনা কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা যেমন হাতিদের কার্যকলাপে কোনও রকম বাধা দেন না। তেমন হাতির পালও তাদের বিরক্ত করে না। ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 

হাতি সেখানে হামলাকারী নয়। বন্ধু। মানুষ আর হাতির সহাবস্থানের এক দারুন নিদর্শন তৈরি হয়েছে। স্থান অসমের গুয়াহাটির নারাঙ্গি মিলিটারি স্টেশন। এই স্টেশন আমচাং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। সংরক্ষিত এই বন্যভূমি ৭৮.৬৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। স্থানীয়দের কথায় এই মিলিটারি স্টেশনে হাতির আনাগোনা নিত্যদিনের ঘটনা।

সেনা কর্তাদের কথায় এই এলাকায় হাতির পালের আনাগোনা নিত্যদিনের ঘটনা। স্বতন্ত্রভাবে হাতির এই পথ ধরেই যাওয়া আসা করে। স্থানীয়দের কথায় এই এলাকায় হাতির হামলার ঘটনা প্রায় নেই বললেই চলে। হাতির দলকে এলাকার মানুষের ওপর কখনও চড়াও হয় না।

নারাঙ্গির সেনা কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা যেমন হাতিদের কার্যকলাপে কোনও রকম বাধা দেন না। তেমন হাতির পালও তাদের বিরক্ত করে না। নারাঙ্গি স্টেশনে হাতিদের সঙ্গে তাদের শান্তিপূর্ণ সহবস্থান নিশ্চিত করার জন্য সেনা বাহিনীও তৎপর। এই স্টেশনটি ১৯৬১ সালে স্থানীয়। প্রায় ৩৫০০ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ভারতীয় সেনা বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি একৃটি। এই সেনা ঘাঁটিতে ৫১টি এরিয়ার সদর দফতর সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট রয়েছে। এক সেনা কর্তা জানিয়েছেন, মিলিটারি স্টেশন তৈরি হওয়ার আগে থেকেই এলাকাটি বনভূমি ছিল। সেই জন্য স্টেশনে হাতিদের গুরুত্ব আর অধিকার সবার আগে। সেনা কর্তারা আরও জানিয়েছেন, এই এলাকায় হাতিদের যাতায়াতে তারা কখনও বাধা তৈরি করে না। এমন অনেক সময়ই হাতিদের যাতায়াতের জন্য তাদের গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নিজের প্রয়োজনীয় কাজ বন্ধ রেখেও হাতিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিওঃ

এক সেনা কর্তার কথায় নারাঙ্গি সেনা ঘাঁটিতে হাতিদের সকলেই ভালবেসে মহারাজ বলে ডাকে। শুধু ডাকাই নয়। হাতিদের প্রয়োজনে দরজা পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়। হাতিরা চাইলে পুকুরে নামার ব্যবস্থাও করে দেয় সেনা বাহিনী। সেনা কর্তারা জানিয়েছেন হাতি তাড়ানো হয় না। আর সেই জন্য সেনা ঘাঁটিতে কোনও পটকা ফাটান হয় না। তেমনই নেই হুলা পার্টি। সেনা কর্তাদের কথায় নারাঙ্গি সেনা ঘাঁটিতে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মুক্তএলাকায় সেখানেই হাতিদের অবাধ বিচরণ। হাতিদের গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরাও বসান হয়েছে।

সেনা কর্তারা আরও জানিয়েছেন, শুধু সেনা ঘাঁটিতেই নয় হাতিরা যাতে গোটা এলাকায় নিরাপদে বিচরণ করতে পারেন তার ব্যবস্থাও তাঁরা করেন। লোকালয় বা বনবস্তিতে যাতে সাধারণ মানুষ হাতেদের অসুবিধে তৈরি না করে তারজন্য তারা সতর্ক থাকেন।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

জেনে নিন আজ শহরের ডিজেল ও পেট্রোলের দাম কত
Iqra Choudhary : 'তোষণের নামে মুসলিমদের টার্গেট করা হচ্ছে' সংসদে ইকরা চৌধুরীর হুঙ্কার!