মাদ্রাজ আইআইটি খোলার পরেই করোনাভাইরাসের কোপ, মাত্র ১৪ দিনেই আক্রান্ত ৭১

  • মাদ্রাজ আইআইটি খোলার পরেই করোনার কোপে 
  • ১৪ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ জন 
  • অধিকাংশই পড়ুয়া আক্রান্ত হয়েছেন 
  • করোনার ক্লাস্টার ঘোষণা করা হয়েছে 

Asianet News Bangla | Published : Dec 14, 2020 6:48 AM IST

অস্থায়ীভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হল আইআইটি মাদ্রাসের ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস খোলার মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে ৭১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যারমধ্যে ৬৬ জনই পড়ুয়া। আইআইটি মাদ্রাসের এক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল। বর্তমানে এটি চেন্নাইয়ের সবথেকে বড় করোনা ক্লাস্টারে পরিণত হয়েছে। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস খোলার পর থেকেই করোনা মহামারি মারাত্ম আকার নিয়ে বলেও জানান হয়েছে আইআইটি সূত্রে। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ল্যাব ও লাইব্রেরি। 

গত পয়লা ডিসেম্বর ক্যাম্পাস খোলার পরই দুজন আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনাভাইরাসে। তারপর মাত্র ১৪ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ জনে। ১০ ডিসেম্বর ৫৫ জন আক্রান্ত হওয়ার পরই আইআইটি ক্যাম্পাসকে করোনার হটস্পটে ঘোষণা হয়। আইআইটি মাদ্রাস ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ৭৭৪ জন পড়ুয়া রয়েছে। কৃষ্ণা ও যমুনা এই  দুটি হোস্টেলে আক্রান্তের সংথ্যা সব থেকে বেশি। আক্রান্তদের হোস্টেলের ঘর থেকে বার না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গেস্ট হাউসে থাকে এক শিক্ষক ও দুই মেস কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। ছাত্রদের একজায়গায় বেশি জমায়েতের কারণেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান হয়েছে। আর তাই ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাস্কের ব্যবহারও বাধ্যতামূল করা হয়েছে। 

খাবার জায়গায় ছাত্রদের ভিড় কী করে এড়ানো যায় তাই নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে কর্তৃপক্ষের মধ্যে। কারণ মেস থেকেই খাবার সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ছাত্রদের কথায় মেস এমনই একটা জায়গা যেখানে মাস্কের ব্যবহার করা যায় না। এক রিসার্চ স্কলার জানিয়েছেন,  প্রথম দিনেই কয়েক জন মেস কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই আবার নতুন মেস কর্মীদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ২৫ জন পড়ুয়াকে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ল্যাবরেটারি ও লাইব্রেরি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আইআইটি কর্মী ও শিক্ষকদের অধিকাংশ বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় কাজ করছেন। কবে এই অচলাবস্থা কাটবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। 

Share this article
click me!