ওই স্কুলে একাধিক ছাত্রীর অভিযোগ তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত অশ্লীল আচরণ করতেন ওই প্রধান শিক্ষক। কেউ কেউ জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষক তাদের গায়ে অশালীন ভাবে হাত দিতেন।
নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে তিনি নাকি পর্ন ছবি দেখাতেন! একজন নয়, একাধিক ছাত্রী এমন অভিযোগ আনল খোদ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ঘটেছে এই ঘটনা। ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ওই স্কুলে একাধিক ছাত্রীর অভিযোগ তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত অশ্লীল আচরণ করতেন ওই প্রধান শিক্ষক। কেউ কেউ জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষক তাদের গায়ে অশালীন ভাবে হাত দিতেন। কেউ কেউ গোপনাঙ্গ স্পর্শের অভিযোগও করেছে। এক ছাত্রী বলেছে, "আমার সঙ্গে অসভ্যতা করতেন প্রধান শিক্ষক। আমি অনেক বার বারণ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শুনতেন না। এক বার আমাকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আমার সহপাঠীরা কোনও রকমে দরজা খুলেছিল।"
এই সব অভিযোগ পওয়ার পরেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছে সে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এই সব অভিযোগ সামনে আসতেই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক হইচই পড়ে যায় ওই এলাকায়। এর পর ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা। তিনি শিক্ষা দফতর এবং পুলিশকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
বেশ কয়েক জন ছাত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের ডেকে পর্ন দেখিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। এক ছাত্রী আবার জোর করে তাকে চুম্বন করার অভিযোগ করেছেন। এর আগে রাজস্থানেও এরকম ঘটনা ঘটে। রাজস্থানের দুঙ্গারপুর জেলার একটা স্কুলে কর্মরত শিক্ষককে আটক করা হয় এরকম অভিযোগের ভিত্তিতে। তার বিরুদ্ধে একেবারে মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। তিনি ছাত্রীদের ডেকে এনে তাদেরকে যৌন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, ছাত্রীদের তিনি চকোলেট ও চিপসের লোভ দেখিয়ে ডেকে আনতেন। মূলত ৮-১২ বছর বয়সি ছাত্রীদের প্রতিই তার বাড়তি লোভ ছিল। এরপর তাদেরকে অশ্লীল ভিডিও দেখাতেন তিনি। এরপরই তাদেরকে তিনি যৌন অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।