বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিযোগিতা, 'করোনা ভ্যাকসিক টাস্ক ফোর্স' গড়ে ফেলল ভারত-ও

Published : Aug 08, 2020, 04:38 PM ISTUpdated : Aug 13, 2020, 01:59 PM IST
বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিযোগিতা, 'করোনা ভ্যাকসিক টাস্ক ফোর্স' গড়ে ফেলল ভারত-ও

সংক্ষিপ্ত

অন্তত ছয়টি করোনা ভ্যাকসিন প্রায় সফল হওয়ার মুখে এই অবস্থায় সবার আগে টিকা সংগ্রহের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে বিভিন্ন দেশ ভারতও আগেভাগেই এই বিষয়ে গড়ল একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কারা আছেন এই কমিটিতে, কী বা তাদের কাজ  

রাশিয়া ইতিমধ্যে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির দাবি করেছে। তাছাড়াও ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ছয়টি করোনা ভ্যাকসিন এখন মানবদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। করোনার টিকা তৈরির এই দৌড় যত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে ততই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিভিন্ন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাদের সঙ্গে চুক্তি করার প্রবণতা বাড়ছে। এই অবস্থায় চুপ করে বসে নেই মোদী সরকার-ও। ইতিমধ্যেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন-এর সমস্ত বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার, প্রাসঙ্গিক মন্ত্রক এবং প্রতিষ্ঠাননগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স বা বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে।

সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, নীতি আয়োগ-এর সদস্য অধ্যাপক ভি কে পল এবং স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ যৌথভাবে এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন। এছাড়া এই উচ্চ-স্তরের প্যানেলে থাকছেন এইমস হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া। থাকছেন বিদেশ বিষয়ক, জৈব প্রযুক্তি ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। স্বাস্থ্য বিভাগ, ভারতের এইডস গবেষণা ইনস্টিটিউট, ইন্ডিয়ান কাউন্সিলের অব মেডিকেল রিসার্চ-এর ডিরেক্টররাও থাকছেন এই কমিটিতে। এর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদেরও কমিটিতে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

এই প্যানেলের প্রথম কাজটি হবে ভ্যাকসিন সনাক্তকরণ, অর্থাৎ ভারত সরকার কোন টিকা-টি কিনবে। একাধিক টিকাও কেনা হতে পারে। এরপরে সেই টিকা বা টিকাগুলি কীভাবে সংগ্রহ করা উচিত সেই সিদ্ধান্ত নেবে কমিটি। বিদেশী সংস্থার থেকে টিকা কেনা হবে, নাকি দেশীয় সংস্থার উপরই সম্পূর্ণভাবে ভরসা করা হবে, তা ঠিক করতে হবে। এর সঙ্গে থাকবে রাজ্য সরকারগুলি যদি নিজেরা আলাদা করে টিকা কিনতে চায় তার অনুমতি দেওয়া হবে, নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে কোনও কেন্দ্রীয় ক্রয় ব্যবস্থার মাধ্যমেই টিকা কিনতে হবে - সেই  সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়।

এরপর এই কমিটির কাজ হবে টিকার বিষয়ে একটি আর্থিক পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করা। শুধু ভ্যাকসিন কেনাই নয়, তা বিতরণ এবং তার বিশাল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট বাজেট তৈরি করতে হবে। আর এই প্যানেলের শেষ কাজ হবে ইনভেন্টরি পরিচালনা অর্থাৎ ভ্যাকসিন কোথায় কতগুলি ডোজ দেওয়া হচ্ছে তার হিসাবপত্তর পরিচালনা, বিতরণ এবং তার সঙ্গে জড়িত প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার বিষয়ে একটি বিশদ কৌশল তৈরি করা।

PREV
click me!

Recommended Stories

Indian Railways: এবার তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের নিয়মে বড়সড় রদবদল, জানিয়ে দিল রেল
রজস্বলা নাবালিকাকে একটা স্যানিটারি ন্যাপকিন দিতে ব্যর্থ ইন্ডিগো, বাবার কাতর আর্জির ভিডিয়ো ভাইরাল