ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি মাত্র ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজি কাউন্সিল রয়েছে এবং সেটি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই সময় এসেছে যে ভারতের সাথে দ্বিতীয় বাণিজ্য ও প্রযুক্তি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করার।
নয়াদিল্লিতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ভারত-ইইউ কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। বাণিজ্য, জলবায়ু, ডিজিটাল প্রযুক্তির পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে সম্মত হন দুই শীর্ষনেতা।
লেয়েন বলেন, ইউরোপীয় কমিশনের একটি মাত্র ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজি কাউন্সিল রয়েছে এবং সেটি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই সময় এসেছে যে ভারতের সাথে দ্বিতীয় বাণিজ্য ও প্রযুক্তি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করার। এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ভারত টেকনোলজির পাওয়ার হাউস। ভারতের মধ্যে অত্যন্ত সম্ভাবনা রয়েছে প্রযুক্তিগত দিকে নিজেদের বিকাশ ঘটানো।
ইইউ-ভারত সম্পর্কের ষাটতম বার্ষিকী
ইউরোপায় ইনিয়নের তরফে জানানো হয় এই বছর ইইউ-ভারত সম্পর্কের ষাটতম বার্ষিকী চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বৈঠকের পরে, একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে ইইউ এবং ভারতের মধ্যে মূল্যবোধ এবং স্বার্থ পারস্পরিকভাবে উপকারী এবং কৌশলগত সহযোগিতাকে আরও গভীর করার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারত কয়েক দশকের ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বে আবদ্ধ। এই সম্পর্কের ভিত মজবুত।
ইউরোপীয় কমিশনের তরফে বলা হয়েছে ভারত ও ইইউ উভয়ই বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিবৃতিতে ইইউ-ইন্ডিয়া কাউন্সিল প্রতিষ্ঠাকে ইইউ এবং ভারতের প্রতিটি নাগরিকের সুবিধাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশন, একটি প্রেস বিবৃতিতে বলেছে, এই স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে। প্রযুক্তিগত, বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থানে কাজ করবে এই ভারত ও ইইউ। উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে যে ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তনগুলি যৌথভাবে মোকাবিলা করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি কাউন্সিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য রাজনৈতিক স্টিয়ার এবং প্রয়োজনীয় কাঠামো প্রদান করবে, প্রযুক্তিগত কাজ সমন্বয় করবে এবং রাজনৈতিক স্তরে রিপোর্ট করবে যাতে অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইইউ প্রধান আজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে দেখা করেছেন এবং ভারত-ইইউ অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এদিনের আলোচনায় ইউক্রেন সংঘাতের প্রভাব সম্পর্কে মতামত বিনিময় করা হয়। মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ রাজঘাটে যাওয়ার পরই ইইউ প্রধান জয়শঙ্করের সাথে দেখা করেন। ইইউ-ভারতের বিস্তৃত অর্থনৈতিক এজেন্ডা, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি এবং ভৌগলিক ইঙ্গিত চুক্তির উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আলোচনায় উঠে আসছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতও।
আরও পড়ুন- ক্যাসিনো খেলতে বিদেশে ছুটতে হবে না, পর্যটকদের জন্য দেশের এই রাজ্য বৈধ হচ্ছে জুয়া