নরেন্দ্র মোদীর এক চালেই বাজিমাৎ! রেলপথের জন্য ভারতের কাছে ভিক্ষা চাইতেও পিছপা নয় বাংলাদেশ

Published : Dec 29, 2024, 11:32 AM IST
Prime Minister Modi congratulated the head of the interim government of Bangladesh Muhammad Yunus bsm

সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্য়মে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই প্রায় বন্ধ বাংলাদেশের রেলপথ নির্মাণের কাজ। 

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত বিরোধিতার সুর ক্রমশই চড়াচ্ছে বাংলাদেশ। কারণে অকারণে ভারতের বিরোধিতা করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুসের সরকার। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষও ভারতের বিরোধিতার কারণে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের মোদী সরকার বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশের জন্য। বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশের রেলওয়ের ৬ প্রকল্পের টাকা দেওয়া। হাসিনার আমনেই ভারতের সাহায্যে বাংলাদেশের রেলওয়ে সম্প্রসারণের জন্য ৬ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চুক্তি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ঋণ চুক্তি আপাতত স্থগিত রেখেছে ভারত।

ইতিমধ্যেই প্রকল্পের আওতায় শেষ হয়েছে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মণের কাজ। কিন্তু এখনও বাকি রয়েছে ৫টি প্রকল্প। সেই প্রকল্পের কাজগুলি আপাতত ধীরে চলো অবস্থায় রয়েছে। যারমধ্যে দিনাজপুরের পার্বতীপুর-রংপুরের কাউনিয়া রেলপ্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি। বাকিগুলির অবস্থাও তথৈবচ। খুলনা-দর্শনা রেলপথ নির্মাণের কাজ হয়েছে ৪.৭০ শতাংশ, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণের কাজ হয়েছে ১৭.১০ শতাংশ। ঢাকা-টঙ্গি ডাবল লাইনের কাজ হয়েছে ৩৭.১১ শতাংশ। কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল প্রকল্পের কাজ রয়েছে ৫১ ভাগ।

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্য়মে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই প্রায় বন্ধ বাংলাদেশের রেলপথ নির্মাণের কাজ। যারকারণে ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের কর্তাব্যক্তিরা ভারতের দ্বারস্থ হয়েছে। ভারতের ব্যাঙ্কের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে।

বাংলাদেশের রেলওয়ের অধিকর্তা আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারত যদি বাকি প্রকল্পগুলির জন্য আর্থিক সাহায্য না দেয় তাহলে যতদিন অন্য তহবিল সংগ্রহ না হয় ততদিন কাজ বন্ধ রাখতে হবে। বাংলাদেশ সরকার অন্য তহবিলের ব্যবস্থা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছে বর্তমানে ভারত অর্থ দিচ্ছে না বাংলাদেশের রেলওয়ের জন্য। কেন টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে- তাও ভারতের কাছ থেকে জানতে চাইবে বাংলাদেশ, জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় দূতাবাসকে কূটনৈতিক নোট পাঠান হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের রেলসচিব। কিন্তু ভারত এখনও কোনও উত্তর দেয়নি বলেও রেল প্রশাসনের মধ্যে উদ্যোগ বাড়ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: কলকাতায় পা রাখছেন মেসি থেকে শুরু করে শুভেন্দুর নিশানায় মমতা, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
জনগণনা ২০২৭: ৩০ লক্ষ কর্মী, ১১,৭১৮ কোটি টাকা বাজেট, বিশ্বের বৃহত্তম সমীক্ষা