৫ বছর কার্গিলের বীরদের সম্মান জানায়নি কংগ্রেস, কার উদ্যোগে, কীভাবে শুরু হল বিজয় দিবস উদযাপন

Published : Jul 26, 2020, 11:46 AM ISTUpdated : Jul 26, 2020, 11:49 AM IST
৫ বছর কার্গিলের বীরদের সম্মান জানায়নি কংগ্রেস, কার উদ্যোগে, কীভাবে শুরু হল বিজয় দিবস উদযাপন

সংক্ষিপ্ত

রবিবার কার্গিল বিজয় দিবসের ২০ বছর পূর্ণ হল সারা দেশ সেই যুদ্ধে শহিদ ও বীরদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করছে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কিন্তু এই দিনটিকে পালন করত না কংগ্রেস সরকার জানেন কার উদ্যোগে কীভাবে শুরু হল এই বিজয় দিবস উদযাপন

১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিল ভারত। টাইগার হিলের মাথায় উড়েছিল তেরঙ্গা। সেই যুদ্ধে যে সমস্ত জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন তাঁদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতেই পালন করা হয় কার্গিল বিজয় দিবস। রবিবার ভারতীয় সামরিক ইতিহাসের এই উজ্জ্বল দিনের ২০ বছর পূর্ণ হল। কিন্তু, ২০০৯ সাল পর্যন্ত কিন্তু এই দিনটিকে সরকারিভাবে পালন করা হয়নি। কীভাবে তবে শুরু হল কার্গিল বিজয় দিবস?

১৯৯৯ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ী সরকারের আমলে কার্গিল যুদ্ধে এই দূর্দান্ত জয় লাভ করেছিল ভারতীয় সামরিক বাহিনী। কিন্তু, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার কিন্তু ভারতের এই অমর শহিদদের স্মরণ করার কোনও উদ্যোগই নেয়নি। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই দিনটি ভারতীয় নাগরিকরা সতঃস্ফূর্তভাবে পালন করলেও সরকারি কোনও উদ্য়োগ ছিল না। কিন্তু, ওই বছর জুলাই মাসে সংসদে এই বিষয়টি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন বিজেপি সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর।

বৃহস্পতিবার একটি টুইট করে বিষয়টি স্মরণও করিয়ে দিয়েছেন রাজীব চন্দ্রশেখর। টুইট করে তিনি বলেন, ২০০৪-২০০৯ সালে কংগ্রেস-এর নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপন করেনি। এই বিষয়টির উপর তিনি সংসদে জোর না দেওয়া পর্যন্ত তারা শহিদদের সম্মান দেয়নি।

রেকর্ড বই বলছে অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপন করেছিলেন। ইন্ডিয়া গেটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর ইউপিএ দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে সেই উদযাপন অনুষ্ঠান অগ্রাহ্য করেছিল।

২০০৯ সালে রাজ্যসভায় কার্গিল বিজয় উদযাপনের জন্য সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখরের ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তত্কালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি-কে চিঠি দিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেছিলেন, ২৬ জুলাই কার্গিলের শত্রুদের উপর সশস্ত্র বাহিনীর পুরুষ এবং মহিলাদের বিজয়ের দশম বার্ষিকী অবশ্যই পালন করা উচিত। ভারতীয় হিসাবে তাদের ত্যাগ ও কর্তব্যপালনের দৃষ্ঠান্তকে স্মরণ করা আমাদের কর্তব্য।

এই বিষয়ে রাজীব চন্দ্রশেখরের একাধিক অনুরোধের পর, একে অ্যান্টনি জানিয়েছিলেন, শহীদদের নজির ও সম্মানের কথা মাথায় রেখে ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই অমর জওয়ান জ্যোতি-তে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেই থেকে ফের শুরু হয়েছিল নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটে অমর জওয়ান জ্যোতি-তে প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের রীতি।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

Indigo Flights Cancelled : ইন্ডিগোর বিমান বিভ্রাট অব্যাহত! চরম ভোগান্তি, আকাশপথে জট, রেলপথেই সমাধান!
8th Pay Commission: বড় খবর! ১ জানুয়ারি থেকে বাড়ছে না কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন? কতদিন পিছিয়ে গেল দিন