লাদাখ সীমান্ত ভারত চিন সৈন্যদের মধ্যে উত্তজনা
পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
অজিত ডোভাল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে আলোচনা
তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক রাজনাথ সিং-এর
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই পানগং টসো লেকের ওপারে সেনা সমাবেশ করছে চিন। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে বাঙ্কারও। একটি স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়েছে সীমান্তের ওপারে রীতিমত যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি শুরু করেছে চাইনিস পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। তৈরি হয়েছে এয়ারবেসও। সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে চিনা যুদ্ধ বিমানও। সূত্রের খবর পূর্ব লাদাখ সীমান্তে প্রায় গা ঘেঁসাঘেঁসি করে অবস্থান করছে ভারতীয় ও চিনের সৈন্যরা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে চিনা সৈন্যরা পাথর ছুঁড়ছে। লাঠি ও কাঁটাতারের গোলা দিয়েও হামলা চালাচ্ছে। লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হচ্ছে।
এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। তবে বৈঠক প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন নৌ, বিমান ও স্থলবাহিনীর প্রধানরাও। সূত্রের খবর সীমান্ত পরিস্থিতিত সম্পর্কে তাঁদের কাছ থেকে সমস্ত খোঁজ খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর এদিনই একটি পৃথক বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
গতকালই চিনা দূতাবাস, তাদের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে একটি নোটিশ জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে চাইলে দেশে ফিরে যেতে পারেন সমস্ত চিনা নাগরিক। চিন এই নোটিশ জারি করার পরই উদ্বেগ বাড়তে থাকে। কিন্তু তার আগে থেকেই লাদাখ ও সিকিম সীমান্তে রীতিমত উত্তেজনা বাড়তে থাকবে। গত ৯ মে ভারতের ১৫ থেকে ২০ জন জওয়ান নজরদারী চালাচ্ছিল। সেই সময় দুই দেশের সৈন্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছিল চিনা সৈন্যরা। অভিযোগ চিনা মোটর বোটগুলিকে সীমান্ত অতিক্রম করে পানগং লেকে টহল দিতে দেখা গেছে। সিকিম সীমান্তেও চিনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত।
সেনাবাহিনীর এক কর্তার কথায় স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজন মেটাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় রাস্তা ও ব্রিজ নির্মান করা হয়েছিল। ভারতের এই পরিকাঠামো উন্নয়নকে ভালোভাবে নেয়নি চিন। তারপর থেকেই সীমান্তে সেনা মজুত করা হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি। তবে চিনের এই আচরণ ভালোভাবে নেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। লাদাখ, সিমিক বা দক্ষিণ চিন সাগর এলাকায় চিন রীতিমত ক্ষমতা আসফালন দেখাচ্ছে। চিনের এই উস্কানিমূলক আচরণে রীতিমত বিরক্তি প্রকাশও করা হয়েছে।