মহাকাশে শত্রুপক্ষের উপর আরও সহজে নজরদারি চালানো যাবে এবার থেকে। বুধবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ক্লাউড প্রুফ গুপ্তচর স্যাটেলাইট (রি স্যাট ২বি) উৎক্ষেপণ করা হল।
কেন এটি নাম ক্লাউড প্রুফ স্পাই স্যাটেলাইট? কারণ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৫৭ কিলোমিটাক উপর থেকে মেঘ ভেদ করে শত্রুর উপরে নজরদারি করতে সক্ষম এই উপগ্রহ। ফলে এবার থেকে কোন জঙ্গি ঘাঁটিতে জঙ্গিরা রয়েছে, সেসব সহজেই এই উপগ্রহের মাধ্যমে চলে আসবে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে। ফলে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে পারবে ভারতীয় সেনা বাহিনী।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই গুপ্তচর উপগ্রহ খুবই শক্তিশালী। যার ফলে শুধু দিনেই নয়, রাতেও একই রকম ভাবে সক্রিয় থাকবে উপগ্রহটি। যে ছবিগুলি এই উপগ্রহে ধরা পড়বে তাতে খুঁত অন্যগুলির তুলনায় কম থাকবে। দিনে ২-৩ বার ছবি তুলবে স্পাই স্যাটেলাইট। ফলে সারাদিনের ছবি চলে আসবে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে। ফলে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটির কার্যকলাপ সম্পর্কে ওয়াকিবহল থাকবে ভারত।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা গিয়েছে এই স্যাটেলাইটের ওজন ৬১৫ কিলোগ্রাম। এত ভারী উপগ্রহ উৎক্ষেপণেও রেকর্ড গড়ল ইসরো। শুধু পাকভূম নয়। বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের উপরেও নজর রাখবে এই উপগ্রহটি।
এই উপগ্রহেই ইসরো প্রথম ভারতের নিজের বানানো প্রসেসর বিক্রম-কে ব্যবহার করল। ইসরোকে এই উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি টুইট করে লিখেছেন, অসাধারণ কাজ ইসরো! বার বার আমাদের গর্বিত করে ইসরো। যে কোনও আবহাওয়ায়, মহাকাশে এই উপগ্রহই আমাদের চোখ হিসেবে কাজ করবে।
এই নিয়ে মোট ৩৫৪টি উপগ্রহ পাঠিয়েছে ভারত। এর মধ্যে রিস্যাট ১ ও রিস্যাট২-এর থেকেও শক্তিশালী এই উপগ্রহটি। ২০০৮ সালে আরব সাগর হয়ে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই মুম্বই হামলার পরেই রি-স্যাট ১ ও ২-কে মহাকাশে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, এই সফল উৎক্ষেপণের পরে ইসরোকে সারা দেশ কুর্ণিশ জানাচ্ছে।