মিসাইল সিস্টেমের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনে রয়েছে শুধুমাত্র সিমুলেটর এবং অন্যান্য প্রশিক্ষণ-সম্পর্কিত সরঞ্জাম। এতে ক্ষেপণাস্ত্র বা লঞ্চার অন্তর্ভুক্ত নয় বলে প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যেই, ভারতে এল S-400 Triumf এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম। ট্রেনিং স্কোয়াড্রনের জন্য মস্কো থেকে সিমুলেটর এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পেয়েছে নয়াদিল্লি। এই মিসাইল সিস্টেমের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনে রয়েছে শুধুমাত্র সিমুলেটর এবং অন্যান্য প্রশিক্ষণ-সম্পর্কিত সরঞ্জাম। এতে ক্ষেপণাস্ত্র বা লঞ্চার অন্তর্ভুক্ত নয় বলে প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ চলা সত্ত্বেও মস্কো থেকে ভারতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। ভারতীয় সেনার কাছে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে এয়ারক্রাফট ইঞ্জিন ও বিমানের নানা অংশ। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংকট না মিটলে ভবিষত্যে আর সাহায্য ভারত পাবে কীনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্র জানাচ্ছে এখনও পর্যন্ত চুক্তি মত ভারত অস্ত্র সরবরাহ পেয়ে এসেছে। ভবিষত্যে এই সরবরাহ অবিচ্ছিন্ন থাকবে বলেই আশা করে নয়াদিল্লি। তবে রাশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই সরবরাহে কিছুটা হলেও বাধা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলির পরিষেবা ও রাশিয়ার অস্ত্র তৈরির কারখানাগুলিতে টাকা পাঠানো দুষ্কর হয়ে উঠছে ক্রমশ।
তবে সূত্রের খবর ভারত রাশিয়া যৌথভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার বিকল্প রাস্তা খুঁজছে। সাম্প্রতিককালে ফাইটার এয়ারক্রাফট ও যুদ্ধবিমানের নানা অংশ রাশিয়া ভারতে পাঠিয়েছে জলপথে। এর আগেই রাশিয়া জানিয়ে ছিল ভারতকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম সরবরাহকে পশ্চিমী দেশগুলির কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা প্রভাবিত করবে না। মস্কো- দিল্লির মধ্যে হওয়া এই চুক্তি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার উপরই নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন- আরও আগ্রাসী রাশিয়া, কৃষ্ণ সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর খেরসনের দখল নিল রুশ সেনা
আরও পড়ুন- রুশ হামলার বলি ২ হাজারের বেশি মানুষ, ইউক্রেনে ধ্বংস একাধিক বাড়ি থেকে হাসপাতাল
মার্কিন চাপ অগ্রাহ্য করেও ভারত রাশিয়ার থেকে দূরপাল্লার সারফের টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার বিষয়ে এগিয়েছিল। ২০১৮ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য ভারত রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
২০০৭ সালে রাশিয়ার হাতে আসে এস- ৪০০। এরপর ২০১৪ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে কথা বলে নয়া দিল্লি। এরপর ২০১৮ সালে সেইমত রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি চুক্তি সাক্ষর হয়।
ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে S-400 Triumf এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের শেষ অংশগুলিও পেয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাশিয়ার পাঠানো প্রথম স্কোয়াড্রন পাকিস্তান এবং চিনকে মোকাবিলার কাজে ব্যবহার করছে ভারত। ফাইটার জেট, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, যুদ্ধজাহাজ, ট্যাঙ্ক, ইনফ্যান্ট্ররি কমব্যাট ভেহিকল এবং সাবমেরিনের মতো সাহায্য পেয়েছে ভারত। রাশিয়ান অস্ত্রের বৃহত্তম আমদানিকারকদের মধ্যে ভারত অন্যতম।