লাদাখ ইস্যুতে ড্রাগনদের স্পষ্ট বার্তা দিল ভারত, জানিয়ে দেওয়া হল ১৯৫৯ চিনা দাবি ভুল

  • লাদাখ নিয়ে চিনের দাবি প্রত্যাক্ষান করা হয়েছে
  •  জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক
  • আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা হবে 
  • পাশাপাশি লাদাখে শীতেও সেনা মোতায়েন থাকবে 
     

Asianet News Bangla | Published : Sep 29, 2020 1:11 PM IST / Updated: Sep 30 2020, 08:21 AM IST

লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি নিয়ে চিনের দাবি মানা হবে না। সরাসরি তা প্রত্য়াক্ষান করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি একটি অনুস্মারক দিয়ে বেজিংকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৯৫৯ সালের দাবি নিয়েও দুই দেশ পারস্পরিকভাবে একমত ছিল না। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে স্পষ্টতা আর নিশ্চয়তয়ার বিষয়ে দুই দেশই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চিন যে দাবি করছে বর্তমানে লাদাখে শুধুমাত্র একটি লাইন অব কন্ট্রোল রয়েছে -- তা মেনে নেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। 

২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে স্পষ্ট ও নিশ্চিত করার বিষয়ে দুই দেশই যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু তারপর চিন আচমকাই তা থেকে পিছিয়ে আসে। তাই বিষয়টি আর এগোয়নি। কিন্তু এখন চিন হঠাৎই দাবি করেছে লাদাখে একটি মাত্র প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা রয়েছে। যা মানা হবে না বলে জানিয়েছে ভারত। পাল্টা চিনা পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছিল চিব ১৯৫৯ সালে সমঝোতার চেষ্টা করেছিল তা নয়া দিল্লি সরাসরি প্রত্য়াক্ষাণ করেছিল। সেই সময় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে ঝো এনলাই একটি চিঠি দিয়ে সমস্যা সমাধানের বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় চিনের দাবি মেনে নেয়নি ভারত। 

পাশাপাশি ভারতের তরফে বলা হয়েছে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সমস্যা সমাধানে চিন আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাবে। সীমান্ত চুক্তি আর আলোচনার মধ্যে দিয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারত ১৯৫৯ সালে এককভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। চিনের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে সেদিনে নজর দিয়েই দুই দেশ সীমান্ত সমস্যা সমাধান করবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে। 

চলতি বছর মে মাস থেকেই লাদাখ সীমান্তে উত্তপ বাড়ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় চিনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চিন রীতিমত তৎপরতা বাড়িয়েছে। গত জুন মাসে গালওয়ান ঘাঁটিতে ভারত ও চিনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়। তারপর থেকে সীমান্ত উত্তাপ কমাতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। মস্কোতে দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও বিদেশ মন্ত্রীরাও বৈঠক করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় ভারত জানিয়েছে আলোচনার মধ্যেই সীমান্ত সমস্যা সমাধান করা যাবে। পাশাপাশি সীমান্ত দেশের সার্বভৌমত্ব আর অখণ্ডতা রক্ষায়ও জোর দিয়ে সীমান্ত এলাকায় চিনা অনুপ্রবেশ রুখতে মোয়াতেন করা হয়েছে বাহিনী। আসন্ন শীতকালেও কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে সেখানে মোতায়েন থাকবে ভারতীয় জওয়ানরা। 

Share this article
click me!