বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটে সামিল 'আশা' কর্মীরা, করোনা লড়াইয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ

দেশে প্রায় ১০ লক্ষ আশা কর্মী রয়েছে
 ধর্মঘটে সামিল হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ কর্মী 
ব্যবহত হচ্ছে করোনা লড়াই 
রবিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে 
 

অবশেষে ধর্মঘটের পথই বেছে নিলেন দেশের আশা কর্মীরা। ১০ লক্ষ আশা কর্মীর মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ কর্মী শুক্রবার থেকে ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। বেতন বৃদ্ধি আর সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার দাবিতেই ধর্মঘটে সামিল  হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশে আশা কর্মীরা।  নূন্যতম বেতন ১০ করার করার পাশাপাশি ইএসআইসহ একাধিক সরকারি সুবিধে পাওয়ার জন্যও তাঁরা আন্দোলন করছেন। 

ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবায় এই আশা কর্মীদের ভূমিকা রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ থেকে পোলিও মত ভয়ঙ্কর রোগ নির্মূল করার পাশাপাশি নবজাতককে জন্মদেওয়ার সময় মহিলার মৃত্যুর হার কমাতে এঁরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। বর্তমানে গ্রামীণ এলাকা ও শহরতলীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সন্ধান দিতে ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আশা কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছিলেন। আর সেই কারণে তাঁদের মধ্যেও সংক্রমণের ঝুঁকি বড়ছিল। সবদিক বিবেচনা করে আশা কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন অনেক দিন আগেই। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদান করারও দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় ধর্মঘটের পথে গেলেন তাঁরা। তবে আশা কর্মীদের এই ধর্মঘটের কারণে করোনা কবলিত ভারতের আকাশে অনেকেই আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছেন। কারণ আশা কর্মীদের জন্যই গ্রামীণ এলাকায় করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাঁদের এই ধর্মঘটের কারণে সেই লড়াইয়ে ছেদ পড়ল। পাশাপাশি যক্ষ্মা টিকা প্রদানসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিও ব্যাহক হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

Latest Videos

মহারাষ্ট্রের এক আশা কর্মী জানিয়েছেন সকাল ৭টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁরা কাজ করেন। আর তার বিনিময় পারিশ্রমিক হিসেবে হাতে পান মাত্র ২ হাজার টাকা। সরকারের তরফ থেকে তাঁদের কোনও মাস্ক বা স্যানিটাইজার প্রদান করা হয় না। অনেক সময় তাও সঠিক সময় তাঁরা হাতে পান না বলে অভিযোগ। 


আশা কর্মীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে শুক্র ও শনিবার তাঁরা ধর্মঘটে সামিল হবেন। রবিবার তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন। এই ধর্মঘটে আশা ক্রমীদের সঙ্গে সামিল হয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের অধীনে যাঁরা কাজ করেন তাঁরাও ধর্মঘটের পথ বেছে নিয়েছেন। ২০০৫ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অংশ হিসেবে আশা কর্মীদের প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছিল। এর আগেই আশা কর্মীরা বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন। কিন্তু এবারই তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের পথে গেলেন। 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘Chinmoy Krishna-কে আমি মুক্ত করবোই’ নির্ভীক Bangladeshi আইনজীবী Rabindra Ghosh-এর চরম প্রতিশ্রুতি
'ওদের লেজ কখনও সোজা হয় না' কেন বললেন শুভেন্দু! দেখুন বুঝে যাবেন | Suvendu Adhikari | Bangla News
জালে পুরনো পাপী! জাল পাসপোর্ট পৌঁছে যেত অনুপ্রবেশকারীদের হাতে! | Duttapukur News | Kolkata
বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra Paul-এর! Mamata-র বিরুদ্ধে RG Kar কাণ্ডের প্রমাণ লোপাটের সরাসরি তোপ
'ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা' হিন্দুদের প্রতি সহানুভুতি, বাংলাদেশী জঙ্গিদের টার্গেট Suvendu Adhikari