ক্রমেই মধ্য এশিয়ার মুসলিম দেশগুলিকে বন্ধুত্বের বন্ধনে বাঁধছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর একবার নরেন্দ্র মোদীর পা পড়েছিল সৌদি আরবে। তারপর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে পাকিস্তানের হাজার চেষ্টাতেও তাদের সমর্থন করেনি সৌদি-সহ আরব দুনিয়ার অন্যান্য দেশগুলি। এবার ফের একবার সৌদি সফরে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বললেন এর আগে ভারত-সৌদি আরবের সম্পর্ক ছিল শুধুমাত্র তেল ক্রেতা-বিক্রেতার। সেখান থেকে এখন দুই দেশ কৌশলগত বন্ধু হয়ে উঠছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ভারতের ১৮ শতাংশ অশোধিত জ্বালানি তেলই আসে সৌদি আরব থেকে। অর্থাৎ সৌদি আরব ভারতের অন্যতম বৃহত তেল জোগানদার। কিন্তু সেই সম্পর্ককে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত। ভারত তাদের তেলের জোগানগার সব দেশের সঙ্গেই আরও বড় অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে। এতে দুই পক্ষই লাভবান হবে। ভারতের তেল ও গ্যাস সিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব। এর মধ্য দিয়ে তাদের তেল সম্পদে বৈচিত্র আনবে বলে দাবি করেছেন মোদী।
এদিন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এক বিশেষ দ্বিপ্রাহরিক ভোজের আয়োজন করেছিলেন সৌদি আরবের বাদশা। লোকসভা ভোটে দারুণ সাফল্য পাওয়ার জন্য সৌদি বাদশা মোদীকে অভিনন্দনও জানান।
ভারতীয় বিদেশ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কৌশলগত পেট্রোলিয়াম সংরক্ষণ, পশ্চিম উপকূলে তেল শোধনাগার, সামুদ্রিক সুরক্ষা এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীদের আলোচনা হবে। এর আগেই সৌদি আরব ভারতের পেট্রোকেমিকাল, পরিকাঠামো ও খনিশিল্পে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। এইবারের সফরে সেই বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।