ইঙ্গিত মিলেছে বর্ষার। খোদ মৌসম ভবন জানিয়ে দিয়েছে কেরালায় ৬ তারিখের মধ্যে বর্ষা ঢুকবে। কিন্তু মাথায় হাত কয়েক লক্ষ কৃষকের। কারণ প্রাক বর্ষার বৃষ্টির অভাবে বড় সঙ্কটের মুখোমুখি তাঁরা।
মেটরোলজিকাল দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বর্ষা আসতে চলেছে, কিন্তু এ যাবৎ দেশ জুড়ে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি হয়েছে মোট ৯৯ মিলিমিটার। গত ৬৫ বছরে বর্ষার মুখেএত কম বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র একবার।
১৯৫৪ সালে প্রাক বর্ষায় বৃষ্টি হয়েছিল ৯৩.৫ মিলিমিটার। তার পরে মাত্র তিনবার প্রাকবর্ষার বৃষ্টির পরিমাণ ১০০-এর নীচে নেমেছে। একবার ২০০৯ সালে, একবার ২০১২ সালে, একবার এই ২০১৯ সালে। ২০০৯ সালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৯৯ মিলিমিটার। সব থেকে বাজে অবস্থা দাঁড়ায় ২০১২ সালে। সে বছর বৃষ্টি হয় ৯০.৫ মিলিমিটার। এ বছরে প্রাক বর্ষায় বৃষ্টি হয়েছে এই যাবৎ ৯৯ মিলিমিটার। এর ফল কৃষিক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন জমির আর্দ্রতা বজায় রাখতে, মাটির তলায় জলের ভাণ্ডারকে পুনরায় ভর্তি করতে, সর্বোপরি চাষাবাদের জন্য প্রাক বর্ষার বৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এবার ঘাটতি দেখা দিচ্ছে সেই বৃষ্টিতে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চল, সৌরাষ্ট্রের কচ্ছ, কর্ণাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চল , পুদুচেরি।
আশার তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হয়েছে উত্তরাখণ্ড, তেলেঙ্গানা, অন্ধপ্রদেশ উত্তরপ্রদেশ, জম্মু কাশ্মীরেও।
আবহবিদদের মতে, বর্ষার প্রকৃতিই বদলাচ্ছে। এটাই সব থেকে ভয়ের সংকেত। এর ফলে মাটি শুষ্ক হবে। মহারাষ্ট্রে গত এক দশক ধরেই ধীরে ধীরে শুষ্ক হচ্ছে মাটি। হঠাৎ দু'দিনের বৃষ্টিতে ভূ গর্ভস্থ জলাধার তো ভরছেই না, বরং জল অপচয় হচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন।