ভারতীয় বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে যে ভারতীয় বহরে ৫টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, দুটি আইএল-৭৮, দুটি সি-১৩০ এবং দুটি সি-১৭ বিমান অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
মিশরে অনুষ্ঠিত হতে চলা ব্রাইট স্টার মহড়ায় অংশ নিতে ভারতীয় বায়ুসেনা তার বহরে পাঁচটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। এর বাইরে ছয়টি পরিবহন বিমান এবং আমাদের বিশেষ বাহিনীর সদস্যদেরও মিশরে পাঠানো হয়েছে। ২১ দিন ধরে চলা এই মহড়া রবিবার থেকে শুরু হয়েছে। কায়রো বিমানঘাঁটিতে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে এবং মিশর ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সৌদি আরব, গ্রিস ও কাতারের বাহিনী অংশ নিচ্ছে।
বিশেষ বাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত থাকবেন
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই প্রথম ভারতীয় বায়ুসেনাও এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে যে ভারতীয় বহরে ৫টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, দুটি আইএল-৭৮, দুটি সি-১৩০ এবং দুটি সি-১৭ বিমান অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিশেষ বাহিনী গরুড়ের কমান্ডো এবং ভারতীয় বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন ২৮, ৭৭, ৭৮ এবং ৮১-এর কর্মীরাও মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন। এগুলি ছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৫০ সেনাও ভারতীয় নৌবহরের অংশ।
মহড়া থেকে ভারতীয় সেনার কী সুবিধা
এই মহড়ার উদ্দেশ্য হবে যৌথ অভিযানের সময় যৌথ পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন অনুশীলন করা। এটি অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নেও সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো যে ভারত এবং মিশরের মধ্যে সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে খুব শক্তিশালী হয়েছে। যেখানে উভয় দেশ একসঙ্গে অ্যারো-ইঞ্জিন তৈরি করছে। এর পাশাপাশি মিশরীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। কিছুদিন আগে মিশরের রাষ্ট্রপতি ভারত সফর করেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীও অতীতে মিশর সফর করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ দুয়েক আগেই ভারত হাতে পায় মিগ ২৯ যুদ্ধ বিমান। আগে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারি চালাত রাশিয়ার তৈরি মিগ-২১ যুদ্ধ বিমান। আর এবারে আনা হল উন্নতমানের মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমান। এটি আগের যুদ্ধবিমানের তুলনায় শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করতে বেশি দক্ষ। এই যুদ্ধ বিমান রাতের আকাশেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যতে হামলা করতে সক্ষম। আবার এই যুদ্ধ বিমানে মাঝ আকাশেই তেল ভরার মতো প্রযুক্তি রয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, শ্রীনগরের মিগ-২৯ 'স্কোয়াড্রন ট্রাইডেন্টস'-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে স্কোয়াড্রন ট্রাইডেন্টস।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, আধুনিকীকরণের পর মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান এখন আগের থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর ও নিখুঁত। রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধবিমানে মাঝ আকাশেই জ্বালানি তেল ভরার প্রযুক্তি এখন বায়ুসেনার হাতে। এ ছাড়া মিগ-২৯ এখন অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন দিকে আক্রমণ শানাতে দক্ষ। বিমানবাহিনীর অন্যতম অস্ত্রের আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হওয়ায় ভারতের আকাশ এখন আগের থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত।