পাক সীমান্তে অপেক্ষা করছে প্রায় ৪০০ জঙ্গি, পশ্চিম সীমান্ত নিয়ে কড়া সতর্কতা সেনা প্রধান নারাভানের

এশিয়ানেট নিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় সেনা প্রধান নারাভানে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদীরা এখনও সীমান্তের ওপারে লঞ্চ প্যাডে রয়েছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৫০-৪০০ জঙ্গি লঞ্চ প্যাডগুলিতে রয়েছে। সেখানেই বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। 

Web Desk - ANB | Published : Jan 12, 2022 6:15 PM IST

ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে। পশ্চিম ফ্রন্টে পাকিস্তান একটি মিথ্যা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। যার মূল উদ্দেশ্যই হল পাকিস্তানের জঙ্গিদের সীমান্ত পার করে এদেশে প্রবেশ করানো। সেই কারণে পশ্চিম ফ্রন্টে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে (MM Naravane)। তিনি আরও বলেছেন, সীমান্তের ওপার বিভিন্ন লঞ্চ প্যাডে ৩৫০-৪০০ জন জঙ্গি (Pak Terrorist) অপেক্ষা করে রয়েছে। 

এশিয়ানেট নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সেনা প্রধান নারাভানে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদীরা এখনও সীমান্তের ওপারে লঞ্চ প্যাডে রয়েছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৫০-৪০০ জঙ্গি লঞ্চ প্যাডগুলিতে রয়েছে। সেখানেই বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। জঙ্গিরা কোনও ভাবেই পিছিয়ে যাবে না। তাই ভারতীয় সেনা বাহিনীকেই সতর্ক থাকতে হবে। পশ্চিম ফ্রন্টের একাধিক হুমকি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 
 
ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস দুই দেশের মধ্যে ২০০৩ সালে একটি যুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে সেই চুক্ত পুননবীকরণ করা হয়েছিল। গত বছর থেকেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অনেকটা হ্রাস পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে সীমান্ত পরিস্থিতি খুব একটা উন্নতি হয়নি। তবে পশ্চিম ফ্রন্টে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হওয়ায় কিছুটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কিন্তু এই অবস্থাতেও পারিস্তান প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। 

যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের প্রথম ঘটনাটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরের তাংধর সেক্টরে রিপোর্ট করা হয়েছিল। ২০২০ সালে সর্বোচ্চ ৪৬৪৫টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। যা দিনে প্রায় ১২.৭টি লঙ্ঘনের সমান। ২০২১ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ৫২৪টি সিজ ফায়ারের ঘটনা ঘটেছিল। 

জেনারেল নারাভানে আরও বলেন, যে ভারতীয় সেনা বাহিনীর HQ IDS দ্বারা প্রদত্ত সময়সীমার কথা মাথায় রেখে অন্যান্য পরিষেবাগুলির সঙ্গে পরামর্শ করে থিয়েটার কমান্ডার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৃহত্তর সমন্বয় ও একাকরণ কীভাবে অর্জন করা যায় সেই বিষয়েও আলোচনা চলছে। 

Share this article
click me!