প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হায়দরাবাদে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে কাজে হাত লাগিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। গত বুধবার থেকেই উদ্ধারকাজে নেমেপড়েছে সেনা জওয়ানরা। সঙ্গে রয়েছে সেনার মেডিক্যাল টিমও। বেশ কয়েকটি প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণের কাজও শুরু করেছে জওয়ানরা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে রাজ্যসরকারের অনুরোধেই বানভাসী হায়দরাবাদে উদ্ধারকাজে নেমেছে তারা। সেনা সূত্রের খবর বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে বন্যা দুর্গতদের। বিলি করা হয়েছে শুকনো খাবার আর জলের প্যাকেট। এক রাতের বৃষ্টিতে বিপর্যন্ত হয়েছে পড়েছে হায়দরাবাদ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিপর্যস্ত। ভারতীয় সেনা বাহিনীর সোশ্যাল মিডিয়া দেওয়া ছবিতে দেখা গেছে সদ্যোজাত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বানভাসী মানুষকে রীতিমত যত্নের সঙ্গেই উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন সেনা জওয়ানরা।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনার ২২টি দল ত্রাণ সরবরাহ আর উদ্ধারকাজে নেমেছে। আর ইতিমধ্যেই ১১ হাজার মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন আটকে পড়া স্থানীয় বাসিন্দাকে। দুর্গতদের সাহায্যে প্রয়োজনীয় খাবার জল আর ওষুধ পাঠান হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে বলেও মনে করছে প্রশাসন। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলাঙ্গনার প্রাকৃতিক বিপর্যয় কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীপাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে হায়দরাবাদ আর সংলগ্ন এলাকায়। বুধবার হায়দারাবাদে প্রায় ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। গত একশো বছর এমন বন্যা পরিস্থিতির কোনও ইতিহাস নেই বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। প্রবল বৃষ্টিতে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে জলের তোড়ে গাড়ি আর মানুষ ভেসে যাওয়ার ছবি। মুশি নদীর জল এতটাই বেড়েছিল যে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় ১০ বছর পর প্রাশাসন লকগেট খুলেদিতে বাধ্য হয়েছিল।