ভারত মাতা স্লোগান তুলে প্যাংগং-এ নিহতের শেষযাত্রা, তিব্বতি বাহিনীর বীর যোদ্ধাকে শ্রদ্ধা

  • শেষযাত্রায় তিব্বতি সেনার সদস্যর নিয়মা
  • দক্ষিণ প্যাংগং-এ মৃত্যু হয়েছিল তাঁর 
  • সেনা বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়রা শ্রদ্ধা জানান 
  • তিব্বতি সেনা তৈরি হয়েছিল ১৯৬২ সালের পর 

Asianet News Bangla | Published : Sep 7, 2020 8:23 AM IST

সোমবার সকালে তিব্বত সৈন্যের সদস্য নিয়মা তেনজিং-এর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাল ভারতও সেনা বাহিনীর সদস্য আর লাদাখের তিব্বতি সম্প্রদায়ের সদস্যরা। নিয়মা, স্পেশাল ফ্রব্টিয়ার ফোর্সের সদস্য ছিলেন। যা ভারতীয়  কমান্ডো বাহিনীর অধীনে তিব্বতি সৈন্যদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল।  একটি সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে দক্ষিণ প্যাংগংএক সংঘর্ষের সময় ল্যান্ডমাইন পা দেওয়ার পরই বিস্ফোরণে তাঁর মৃত্যু হয়। আর এদিন সম্পন্ন হয় তাঁর শেষকত্য।

স্থানীয় তিব্বতি সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা নিয়মা তেনজিং-এর শেষযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিয়ে শেষযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। ভাতীয় সেনা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি তিব্বতি সম্প্রয়াদের মানুষের জমায়েতও ছিল চোখে পড়ার মত। লে-র দেবচনেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় নিয়মার। 


চিনের পিপিলস লিবারেশ আর্মিদের প্রতিহত  করতে ভারতের প্রধান অস্ত্রই হল স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স বা এসএফএফ। লাদাখের পার্বত্য এলাকায় এই বাহিনীর সদস্যরা রীতিমত দাপটের সঙ্গেই চলাফেরা করতে পারে। কারণ এই বাহিনীর অধিকাংশ সদস্যই তিব্বতি সম্প্রদায়ভুক্ত।  একই সঙ্গে তাঁরা তিব্বতি ধর্মগুরু দলাইমালার প্রতি অনুগত। ১৯৬২ সালে চিন ভারত যুদ্ধের পর তৈরি হয়েছিল এফএফএফ। যার অন্যএকটি নাম গহল এস্টাবলিশমেন্ট ২২ বা স্রেফ ২২। এই বাহিনার মূল উদ্দেশ্যই ভরত-চিন যুদ্ধ বাঁধলে চিনা সেনাদের প্রতিহত করা । এই বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যরাই প্যারাট্রুপার। 

১৯৫৯ সালে দলাই মালা যখন ভারতে চলে আসেন তখন তাঁর মূল পরিকল্পনা ছিল চিন বিরোধী বিদ্রোহীদের ঐক্যবদ্ধ করা। সেই সময়  থেকেই শুরু হয়েছিল প্রয়াস। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয় ১৯৬২সালের চিন-ভারত যুদ্ধের পর। সেই সেনার মূল ঘাঁটি উত্তরাখণ্ডের চক্রায়ায়। মাত্র ১২০০০ সদস্য নিয়ে সুরু হয়েছিল যাত্রাপথ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাশাপাশই আমেরিকারও এই বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত এসএফএফ ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধীনে নয়। এই বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে ক্যাবিনেট সেক্রেটারিয়েট। এই বাহিনীর সদস্যরা তিব্বতি হওয়ায় তারা প্রত্যেকেই অতি উচ্চতায় লড়াই করতে সক্ষম। যা কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখে ভারতীয় বাহিনীকে। 

"

Share this article
click me!