বালাকোটেই থেমে থাকেনি ভারত, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে নৌ-সেনা জলে দাপিয়েছে

  • পুলওয়ামা হামলায় ঘুম  উড়ে গিয়েছিল ভারতের। 
  • আকাশপথে আক্রমণ করে উড়িয়ে দেওয়া হয় বালাকোটের জইশ জঙ্গিঘাঁটি।
  • তার আগে থেকেই শুরু হয় নৌবাহিনীর তৎপরতা। 

arka deb | Published : Jun 23, 2019 11:50 AM IST


পুলওয়ামা হামলায় ঘুম  উড়ে গিয়েছিল ভারতের। স্বাধীনতা উত্তর পর্বে এতবড় হামলা দেখেনি ভারত। প্রথমে তাই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় সেনা। কিন্তু তার পরেই শুরু হয় প্রতিশোধ নেওয়ার পালা। বায়ুসেনা প্রত্যাঘাত আনে। আকাশপথে আক্রমণ করে উড়িয়ে দেওয়া হয় বালাকোটের জইশ জঙ্গিঘাঁটি। অবশ্য তার আগে থেকেই শুরু হয় নৌবাহিনীর তৎপরতা। সম্প্রতি জানা গেল সেই তথ্য।

বালাকোটে হামলার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপরতা শুরু হয়ে যায় নৌ-বহরে। পাক নৌ সীমান্ত বরাবর মোতায়েন করা হয় নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। ভারতের আগ্রাসন দেখে পাকিস্তান ধরেই নিয়েছিল জলপথে আক্রমণ চালাবে ভারত। 

এই সময়েই ভারতীয় নৌবহর থেকে চিহ্ণিত করে পিএনএস সাদ নামক এক পাক সাবমেরিনকে। সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, ভারতীয় নৌ-সেনা চিহ্ণিত করে। কয়েক প্রস্থ আলোচনার পরে স্থির হয় এই সাবমেরিনের ওপর নজরদারি চলবে, সঙ্গে চাই শক্তি বাড়ানো। কিন্তু করাচির পরে সেই সাবমেরিনটির লোকেশান অদৃশ্য হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে নৌ-সেনাবাহিনী। মোতায়েন করা হয় ৬০টি যুদ্ধজাহাজ। সন্দেহ করা হয় সংলগ্ন কোনও উপকূলবর্তী শহরে হামলা চালাতে পারে। ভয় ছিল গুজরাট, মহারাষ্ট্রকে নিয়ে। কেন না অতীতেও ভারতে এই পথেই এসেছে পাক জঙ্গিরা।

প্রায় ২১ দিন তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে পাকিস্তানের পশ্চিম উপকূলে খোঁজ পাওয়া যায় পাক সাবমেরিনটির। এই জাহাজ সেখানে পাঠানো হয়েছিল পাকিস্তানের তরফে বালাকোট পরবর্তী হামলার আগাম সতর্কতাস্বরূপ।  এই প্রসঙ্গে ভারতীয় নৌ সেনার ক্যাপ্টেন ডি কে শর্মা বলেন, ভারতীয় নৌ-বাহিনীর ত্রিস্তরীয় সমরসজ্জা দেখে সেদিন পিছু হটেছিল পাকিস্তান।

Share this article
click me!