গালওয়ানে কেন নিরস্ত্র ছিল ভারতীয় জওয়ানরা, রাহুলের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে 'ইতিহাস'

Published : Jun 18, 2020, 08:04 PM IST
গালওয়ানে কেন নিরস্ত্র ছিল ভারতীয় জওয়ানরা, রাহুলের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে 'ইতিহাস'

সংক্ষিপ্ত

ভারত চিন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ২টি চুক্তি হয় নরসীমা রাও ও দেবেগৌড়ার আমলে চুক্তি হয় একটি চুক্তিতে বলা ছিল সীমান্তে ব্যবহার করা যাবে না আগ্নেয়াস্ত্র

সোমবার রাতে উত্তর পূর্ব লাদাখ সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারতীয় সেনা। চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ২০ জওয়ান। সেনা সূত্রের খবর সেই সংঘর্ষে দুই পক্ষই কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। ভারতের অভিযোগ পাথর, কাঁটাযুক্ত লাঠি, রড দিয়েই হামলা চালিয়েছিল চিনা সেনা। কিন্তু কেন ভারতীয় সেনারা আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াই গিয়েছিল শক্রু শিবিরে? যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও জানতে চেয়েছেন কেন তাঁদের নিরস্ত্র অবস্থায় পাঠান হয়েছিল? এরজন্য দায়ী কে? 


রাহুল গান্ধীর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে  গেলে হাঁটতে হবে একটি পিছন দিকে। সীমান্ত বিরোধ মেটাতে ও শান্তি স্থাপনের জন্য  ভারত ও চিনের মধ্যে চিক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসীমা রাও এই চুক্তি করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে রাহুল গান্ধীর বাবা রাজীব গান্ধী চিন সফরের মধ্যে দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। ১৯৫৪ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু চিন সফর করেছিলেন। তারপর ১৯৬২ সালে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশ। চিনের সঙ্গে বরফ শীতল সম্পর্ক কাটানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন রাজীব গান্ধী। সেই পথেই হেঁটেছিলেন নরসীমা রাও। 

১৯৯৩ সালের চুক্তি অনুযায়ী উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করবে না। ভারত চিন দুই পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ছাড়িয়ে যাবে না। যদি এক পক্ষের সেনা সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে যায় তাহলে অন্য পক্ষ তৎক্ষণাত সতর্ক করবে। যার অর্থ দুই দেশের নেতৃত্ব বিরোধ না মেটানো পর্যন্ত সীমান্ত শান্তি বজায় রাখাই হবে সেনাবাহিনীর কাজ। 

১৯৯৬ সালে এই চুক্তটি যথেষ্ট নয় বলে বিবেচিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া আরও একটি চুক্তি করেন চিনের সঙ্গে। সেটি হল সেনা বাহিনীকে আত্ম সংযম করতে হবে। দুই পক্ষের মধ্যে যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তাৎক্ষনিক পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। এই চুক্তির ৬ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে, উভয় পক্ষই নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ২ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না। ব্যবহার করতে পারবে না কোনও বিষ্ফোরক। এই নীতি মেনেই সেদিন নিরস্ত্র ছিল ভারতীয় জওয়ানরা। 

যদিও বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন ভারতীয় সেনারা সীমান্তের দায়িত্বে থাকার সময় আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখে।  পেট্রোলিং-এর সময় আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে থাকে তাদের। 

PREV
click me!

Recommended Stories

নতুন শ্রম আইনে আপনার বেতনের পরিমাণ খুব বেশি কমবে না,কারণ জানাল মন্ত্রক
যাত্রীদের সমস্যার 'ক্ষতে' ১০০০০ টাকার 'মলম'! IndiGo ভাউচার ঘোষণা করল