ভারত-চিন উত্তেজনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী
সেই বৈঠক শুরুর আগেই সরকারকে একহাত নিলেন কংগ্রেস নেতা হুসেইন দালওয়াই
তাঁর দাবি সীমান্ত রক্ষায় পাঠানো হোক আরএসএস কর্মীদের
কারণ সেনার থেকে লাঠি হাতে তারাই লড়বে ভালো
ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার বিকেলে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই কংগ্রেস নেতা হুসেইন দালওয়াই বলেছেন, সীমান্ত রক্ষায় সেনা সদস্যদের পাঠানোর বদলে রাষ্ট্রীয় সমাজসেবক সংঘের কর্মীদের পাঠানো হোক। সর্বদলীয় বৈঠক সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য বৈঠকটি 'খুব দেরী'তে ডাকা হয়েছে। তবে তাঁর মতে 'বেটার লেট দ্যান নেভার' অর্থাৎ একেবারে না ডাকার থেকে দেরীতে ডাকাও ভালো।
এদিন প্রায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সুরেই হুসেইন দালওয়াই বলেন, 'চিনারা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে এবং আমাদের নিরস্ত্র সৈন্যদের হত্যা করেছে। এর জন্য তারা লোহার রড এনেছিল এবং তাদের পক্ষে কেউ মারা যায়নি। আমার মনে হয় ভারতীয় পক্ষের বিশাল ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। কীভাবে আমরা নিরস্ত্র অবস্থায় সেনাদের সেখানে পাঠালাম?'
এরপরই তিনি বলেন, সেনারা লড়াই করার সুযোগই পায়নি, কারণ তাদের লাঠি হাতে পাঠানো হয়েছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন 'ভারতীয় সেনা কি আরএসএস শাখা? সেনা পাঠাবেন কেন? আরএসএস-এর লোক পাঠান। তারা সীমান্ত পাহারা দেবে'। শুক্রবারের বৈঠক নিয়ে তাঁরর দাবি গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সীমান্তের প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশকে জানাতে হবে মোদী সরকারকে।
শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্তত ২০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক করছেন। এই ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা উপস্থিত আছেন। বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে সনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পওয়ার প্রমুখ নেতা নেত্রীরা রয়েছেন। তবে আরজেডি, আম আদমি পার্টির মতো বেশ কয়েকটি দলকে এই বৈঠকে না ডাকা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে।