ইসরাইলি দূতাবাসে হামলার দায় নিল জইশ-উল-হিন্দ - 'এটা শুরু', ধারাবাহিক হামলার হুমকি

ইসরাইলি দূতাবাসের বাইরের বিস্ফোরণের দায় নিল জইশ-উল-হিন্দ

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হল হুমকি বার্তা

তারা বলেছে, এটা একটি ধারাবাহিক হামলার সূচনা

ভারত সরকারের অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতেই হামলা বলে দাবি

amartya lahiri | Published : Jan 30, 2021 9:41 AM IST / Updated: Jan 30 2021, 03:53 PM IST

মধ্য দিল্লির আওরঙ্গজেব রোডে ইসরাইলি দূতাবাসের বাইরের শুক্রবার যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার দায় স্বীকার করল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-উল-হিন্দ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক বার্তায় তারা বলেছে, 'সর্বশক্তিমান আল্লার অনুগ্রহ ও সহায়তায় জইশ-উল-হিন্দ'এর সৈন্যরা দিল্লির একটি উচ্চ-সুরক্ষাযুক্ত অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করতে এবং আইইডি বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারে সতর্ক করে তারা বলেছে, এই বিস্ফোরণেপর মধ্য দিয়ে একটি ধারাবাহিক হামলার শুরু হল। এরপর একের পর এক প্রধান ভারতীয় শহরগুলিকে নিশানা করা হবে। ভারত সরকারের অত্যাচারের প্রতিশোধ নেবে তারা বলে হুমকি দিয়েছে। বার্তা পাঠানোর অ্যাপ টেলিগ্রাম সংস্থা বার্তাটি সত্যি বলে নিশ্চিত করেছে।

ইস্রায়েলি দূতাবাসের বাইরে বিস্ফোরণের পরে দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যে দুইবার ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যবহৃত বিস্ফোরকগুলির তদন্ত করেছে। সূত্রের খবর তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আইইডি ডিভাইসটিতে উচ্চ মানের সামরিক বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। বিস্ফোরণের পর, ইরানের সামরিক জেনারেল কাসেম সোলেমানি হত্যার প্রকতিশোধ নিয়ে এই হামলা বলে একটি চিঠি পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। শুক্রবার রাতে যার জেরে একটি ইরানগামী বিমানের উত্তরণ পিছিয়ে দেয় পুলিশ। ওই বিমানের সকল যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, আল-কায়েদার মতো প্রশিক্ষিত কোনও দল এই হামলার সঙ্গে যুক্ত।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে ইচ্ছাকৃতভাবেই কম তীব্র বোমা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। কম তীব্র বোমাটি একটি প্লাস্টিকের থাম্বস-আপ ক্যানে রাখা হয়েছিল। থাম্বস-আপের ক্যানটিকে আবার পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বোমার ভিতরে বল-বিয়ারিং ভরা ছিল। বোমা বিস্ফোরণের পর সেইসব বল বিয়ারিং তীব্র গতিতে আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির কাচে আঘাত করে। বোমা বিস্ফোরণের জায়গাটি থেকে প্রায় ২৫ মিটার ব্যাসার্ধ এলাকা জুড়ে তার অভিঘাত দেখা গিয়েছে। গাড়িগুলির জানলার কাচ ও র আয়নাগুলি ভেঙে গিয়েছে, গাড়ির ভিতরেও কিছু বল বিরারিং পাওয়া গিয়েছে।

দিল্লি পুলিশের স্পেশাল এদিন ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে। সেখানে ইসরাইল দূতাবাসের কাছে শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটার কিছু আগেই সেখানে একটি ট্যাক্সি থেকে দুই ব্যক্তিকে নামতে দেখা গিয়েছে। আপাতত ওই ট্যাক্সিটির সন্ধান করা হচ্ছে। ওই চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই দুই ব্যক্তির স্কেচ তৈরি করা হবে। বিস্ফোরণের পিছনে তাদের কোনও ভূমিকা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। অন্যদিকে সারা বিশ্বে খ্যাত ইসরাইলের গোয়েন্দা বিভাগ 'মোসাদ'ও এই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।

 

Share this article
click me!