সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষায় গুজরাতিতে প্রশ্নপত্র করা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাংলাতেও প্রশ্নপত্র করার জন্য জাতীয় পরীক্ষা সংস্থা বা এনটিএ-কে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক। তবে শুধু বাংলাতেই নয়, ২০২১ সাল থেকে জয়েন্টে ১১টি আঞ্চলিক ভাষায় প্রশ্নপত্র হবে বলে জানা গিয়েছে।
স্কুল কিংবা কলেজেও আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশোনা করতে পারেন পড়ুয়ারা। কিন্তু জয়েন্টের মতো সর্বভারতীয় পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে কিন্তু আঞ্চলিক ভাষার কোনও জায়গায় নেই। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হত ইংরেজি ও হিন্দিতে। তবে আগামী বছর গুজরাতের পডুয়ারা কিন্তু নিজেদের মাতৃভাষাতেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিতে পারবেন। জয়েন্টে গুজরাতিতে প্রশ্নপত্র হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই বিতর্ক চরমে ওঠে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাংলা-সহ অন্য আঞ্চলিক ভাষার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়েন্টে বাংলায় প্রশ্নপত্রের দাবি জানিয়ে জাতীয় পরীক্ষা সংস্থা বা এনটিএ-কে চিঠিও পাঠান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জাতীয় পরীক্ষা সংস্থা বা এনটিএ আবার পাল্টা দাবি করে যে, বাংলার প্রশ্নপত্র করার জন্য আবেদনই জানায়নি এ রাজ্যের সরকার। তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়।
এদিকে জয়েন্টের প্রশ্নপত্র ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাংলার সরকারি স্কুলের পড়ে আদৌও জয়েন্ট এন্ট্রান্স দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নিয়ে। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে বিতর্কে ঝড় ওঠে। হাজার বিতর্কে মাঝে শেষপর্যন্ত নড়চড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইন-এ বাংলা-সহ ১১টি আঞ্চলিক ভাষায়ও প্রশ্নপত্র করার নির্দেশিকা জারি করা হল।