কর্ণাটকে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে বিজেপি বিধায়কের জামিন মঞ্জুর করল আদালত। ব্যক্তিগত পাঁচ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি।
কর্ণাটক হাইকোর্ট মাদল বিরুপাক্ষপ্পর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে সুবর্না নিউজের রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যান। কর্নাটক হাইকোর্ট চার কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে ধৃত মালদ বিরুপাক্ষপ্পর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। ব্যক্তিগত পাঁচ লক্ষ টাকার বন্ডের বিনিময়ে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। বিধায়ককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লোকায়ুক্তের সামনে হাজির হতেও নির্দেশ দিয়েছে।তবে দিন কয়েক আগে লোকায়ুক্ত তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর নগদ টাকা। যার কোনও উৎস সন্ধান দিতে পারেনি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে বিধায়কের ছেলেকে ৪০ লক্ষ টাকা হাতেনাতে ঘুষ নিয়ে ধরে ফেলেছিল লোকায়ুক্তের দুর্নীতি দমন শাখা।তাঁর ছেলে প্রশান্তকে ৪০ লক্ষ টাকা ঘুস নেওয়ার জন্য লোকায়ুক্তের দূর্নীতি দমন শাখা ৩ মার্চ গ্রেফতার করেছিল। তারপর বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে প্রায় ৬ কোটি নগদ টাকা। এই ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন বিধায়ক। তবে তিনি জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। এদিন কর্ণাটক আদলত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।
অন্যদিকে এই বিরুপাক্ষপ্পকে নিয়ে রিপোর্ট করায় আক্রান্ত সুবর্না নিউজের রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যান। বিজেপি বিধায়কের অনুগামীরাই হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
চান্নাগিরির বিধায়ক বিরুপাক্ষপ্প। তিনি ২০০৮ সালে চান্নাগিরি কেন্দ্র থেকে প্রথম নির্বাচিত হন। তবে ২০১৩ সালে বিধানসভা নির্বাতনে ভাদনাল রাজন্নার কাথে হেরে যান। কিন্তু ২০১৮ সালে আবার নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী বিরুপাক্ষপ্প সেই সময় তাঁর সম্পত্তির যে তথ্য দিয়েছিলেন তাতে বলা হয়েছিল তাঁর সম্পত্তির মোট পরিমাণ ৫ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা।
মাদাল বিরুপাক্ষপ্পর বয়স ৫৮ বছর। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কর্নাটক সোপ অ্যান্ড ডিটারজেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এই কোম্পানি দেশের বিখ্যাত মহীশূর স্যান্ডেল সাবান তৈরি করে। শুক্রবার ছেলে-বাবা দুজনেরই নাম আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যায়। তারপর তড়িঘড়ি তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফাদেন। যদিও বিধায়ক নিজেকে নির্দোশ বলেও দাবি করেন।
লোকায়ুক্তের দুর্নীতি দমন শাখা বিজেপি বিধায়কের বাড়ি থেকে ৬ কোটি ও তাঁর অফিস থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। এর আগে তার ছেলে প্রশান্ত মাদলকে হাতেনাতে ঘুষ নেওয়ার সময় পাকড়াও করা হয়েছিল। সেইসময় প্রশান্ত প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পালিয়ে যায় বিধায়ক। তখন থেকেই বিধায়ক আগাম জামিনের আবেদন করেছিল। বিধায়কের খোঁজে তল্লাশি চায়া লোকায়ুক্তের শাখা। এদিন সেই আবেদনই মঞ্জুর করে আদালত। অন্যদিকে বিচারক জানিয়েছেন, তিনি ২০০৮ ব্যাচের কর্নাটক অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অফিসারের থেকে প্রশান্ত সম্পর্ক অভিযোগ পেয়েছেন। সাবান ও অন্যান্য ডিটারজেন্ট তৈরির জন্য কাঁচামালের লেনদেনের জন্য একজন ঠিকাদারের থাক থেকে ৪১ লক্ষ টাকা সে দাবি করেছিল।