ভারতের জন্য বড় দিন, কর্নাটকের হোয়াশালাদের তৈরি প্রাচীন তিনটি মন্দির স্থান পেতে চলেছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে

ইউনেস্কতে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বিশাল ভি শর্মা জানিয়েছেন প্রথম ধাপ হল ঐতিহ্য কেন্দ্রে একটি তালিকা জমা দেওয়া। তার তৈরি প্রযুক্তি যাচাই ও বিচার করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে। ইউনেস্কোর ডিরেক্টর লাজার ইলাউন্ডউ-র কাছেই মনোনয়ন জমা দিতে হয়।

Web Desk - ANB | Published : Jan 31, 2022 6:26 PM IST

কর্নাটকের (Karnataka) বেলুর হালেবিড ও সোমনাথপুরার (Belur, Halebid and Somnathapura) হোয়সালা মন্দিরগুলিকে (Hoysalas temples) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ (World Heritage) হিসেবে বিবেচনা করার জন্য ভারতের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। ২০১৪ সালের থেকে স্যাক্রেড এনসেম্বল অব দ্যা হোয়াসালা ইউনেস্কোর (UNESCO) অস্থায়ী তালিকায় রয়েছে। প্রাচীনকালের মানুষদের তৈরি এই কেন্দ্র সৃজনশীল প্রতিভা একটি অন্যতম স্থান। এটি আমাদের দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ও সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে। 

ইউনেস্কতে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বিশাল ভি শর্মা জানিয়েছেন প্রথম ধাপ হল ঐতিহ্য কেন্দ্রে একটি তালিকা জমা দেওয়া। তার তৈরি প্রযুক্তি যাচাই ও বিচার করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে। ইউনেস্কোর ডিরেক্টর লাজার ইলাউন্ডউ-র কাছেই মনোনয়ন জমা দিতে হয়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকার জন্য হোয়সালার প্রবিত্র অংশগুলিকে মনোনীত করা হয়েছে। এতে ভারত খুবই গর্বিত। ইতিহাসবীদ ও বিশেষজ্ঞরা এইগুলির এশিয়র ব্যাতিক্রমী ভাষ্কর্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। 

উত্তর পূর্বাঞ্চলের সংস্কৃতি, পর্যটন ও উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি জানিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় স্থান পাওয়ার জন্য হোসওয়াল মন্দিরের পবিত্র অংশগুলি জমা দেওয়া হয়েছে। এটি ভারতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এটি নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিকাশ ও উন্নয়েন একটি সাক্ষী। কেন্দ্রীয় সরকার ভারতে ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা করছে। ভারত থেকে চুরি হয়ে যাওয়া পুরা সামগ্রীও ফিরিয়ে আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

১২-১৩শ শতাব্দীতে নির্মিত হোয়সালাদের পবিত্র স্থান।  এখানে বেলুড়, হালেবিদ এবং সোমনাথপুরের তিনটি মন্দির রয়েছে। যা প্রতিনিধিত্ব করে হোয়সালা শিল্পী এবং স্থপতিদের সৃজনশীলতা এবং দক্ষতার।  এই ধরনের মাস্টারপিস তৈরি করেছিলেন যা আগে কখনও দেখা যায়নি। বা থেকে Hoysala স্থপতিরা তাদের সুবিধার জন্য ভারতের বিভিন্ন স্থানে মন্দির স্থাপত্যের গভীর জ্ঞান ব্যবহার করেছেন। হোয়সালা মন্দিরগুলির একটি মৌলিক দারভিডীয় রূপবিদ্যা রয়েছে তবে মধ্য ভারতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ভূমিজা মোড, উত্তর ও পশ্চিম ভারতের নাগারা ঐতিহ্য এবং কল্যাণী চালুক্যদের পছন্দের কর্নতা দ্রাবিড় মোডগুলির শক্তিশালী প্রভাব দেখায়। তবে এই সৃষ্টিতে তাদের নিজস্ব বিশেষ উদ্ভাবনের  দেখা যায়। যা একটি সম্পূর্ণ উপন্যাস 'হয়শালা মন্দির' ফর্মের জন্ম দিয়েছিল।

Share this article
click me!