কেরলা পুলিশ মঙ্গলবার মহারাজা কলেজ মার্ক লিস্ট বিতর্কে সংবাদ প্রতিবেদনের জন্য এশিয়ানেট নিউজের রিপোর্টা অখিলা নন্দকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে।
অবশেষে রণভঙ্গ দিল কেরল পুলিশ। কেরলা পুলিশ মঙ্গলবার মহারাজা কলেজ মার্ক লিস্ট বিতর্কে সংবাদ প্রতিবেদনের জন্য এশিয়ানেট নিউজের রিপোর্টা অখিলা নন্দকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে। কেরল পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর্নাকুলাম ম্যাজিস্ট্রেট অদালতকে জানিয়েছে অখিলা নন্দকুমারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কোনও প্রমাণ নেই। তাই জেলা অপরাধ শাখা সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্য়াহার করে নিচ্ছে।
বাম-সমর্থিত স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার স্টেট সেক্রেটারি পিএম আরশোর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই পদক্ষেপ নিয়েছিল। অখিলা নন্দকুমারের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত না করেও মামলা করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক পিএম আরশোর অভিযোগের পর পুলিশ মহারাজা কলেজ, এর্নাকুলামের প্রাক্তন সমন্বয়কারী বিনোদ কুমার, কলেজের অধ্যক্ষ ভিএস জয়, কেএসইউ রাজ্য সভাপতি অ্যালোসিয়াস জেভিয়ার, ফাজিল সিএ এবং অখিলা নন্দকুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
প্রাক্তন এসএফআই নেতা বিদ্যার জালিয়াতি মামলার বিষয়ে খোঁজ খবর করতে গত ৬ জুন মহারাজা কলেজের ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন অখিলা। সঙ্গে ছিলেন তাঁক ক্যামেরাম্যান। সরকারি কলেজে গেস্ট লেকচারার পদের জন্য নথি জাল করার অভিযোগে বিদ্যা পলাতক ছিল। অখিলা সেখান থেকেই লাইভ রিপোর্টিং করেছিলেন। সেই সময়ই এক ছাত্র প্রতিনিধি আরশোর মার্ক লিস্ট নিয়ে বিতর্ক তুলে বলেন, এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয় আছে। তখনই নম্বর দুর্নীতির কথা সামনে আসে।
অখিলা নন্দকুমারের বিরুদ্ধে পরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি এবং মানহানি সহ একাধিক মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ক্যাম্পাসে যাওয়ার ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ করা হয়েছিল। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সিনিয়র সাংবাদিক এবং নাগরিক অধিকারের উকিল সহ সকল স্তরের লোকেরা মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তাদের উস্কানিমূলক পদক্ষেপের জন্য কেরালা সরকার এবং পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। রিপোর্ট করার জন্য সাংবাদিকদের বিচার করা এবং তারপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আসার দাবি করা অবিশ্বাস্যভাবে গণতন্ত্রবিরোধী এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কণ্ঠরোধ করা বলেও দাবি করেছিল।