'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে' গ্রুপের বেশ কয়েকজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন দলজিৎ সিং কালসি, যিনি অমৃতপাল সিংয়ের অর্থ পরিচালনা করেন।
গত তিন দিন ধরে খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং-এর ধাওয়া করছে পঞ্জাব পুলিশ। অবশেষে ১৯ মার্চ এই খালিস্তানি নেতার কাকা ও তার ড্রাইভার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন। সোমবার পঞ্জাব পুলিশের হাতে ধরা দিলেন অমৃতপাল সিং-এর কাকা হরিজিৎ সিং এবং চালক হারপ্রীত। পঞ্জাবের মেহতপুরে আত্মপ্রকাশ করেন তারা। শনিবার যখন পুলিশ খালিস্তানি নেতা ও তার সহযোগীদের তাড়া করছিল তখন অমৃতপাল সিংয়ের কাকা হারজিৎ সিং একটি মার্সিডিজ চালাচ্ছিলেন। হরিজিৎ সিং বলেছেন যে ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার পুলিশ ধাওয়া করার সময় তিনি এবং অমৃতপালের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। অমৃতপাল সিং-এর চারজন শীর্ষ সহযোগীকে গ্রেফতার করে উচ্চ অসমের ডিব্রুগড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে।এখনও পর্যন্ত পুলিশ অমৃতপাল সিংয়ের ১১২ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। রবিবারই গ্রেফতার হয়েছে ৩৪ জন। তার 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে' গ্রুপের বেশ কয়েকজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন দলজিৎ সিং কালসি, যিনি অমৃতপাল সিংয়ের অর্থ পরিচালনা করেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং-কে ধরতে গিয়েও বিফলে গিয়েছিল পঞ্জাব পুলিশের চেষ্টা। তাঁর ৭৮ জন কর্মী সমর্থক সহ বহু ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়েছে শনিবার। দিনভর তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দলের অর্থনৈতিক সহায়ক দলজিৎ সিংহও। কিন্তু, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে একেবারে সামনে থেকে পালিয়ে গেছেন অমৃতপাল সিং। একটি মোটরবাইকে চড়ে ঝড়ের বেগে তাঁকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
অমৃতসরের জল্লুপুর খেরা গ্রামে অমৃতপাল সিংয়ের বাড়ি, সেই বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু সেখানে ‘বেআইনি কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি’ বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা। অমৃতপাল ঘনিষ্ঠ লভপ্রীত সিংহ তুফানকে পুলিশি কবজা থেকে ছাড়ানোর জন্য তাঁর দলের সমর্থকরা লাঠি তরোয়াল সহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পঞ্জাবের বহু থানায় ‘তাণ্ডব’ চালিয়েছিলেন গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। অমৃতপালের ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ বা পঞ্জাবের উত্তরাধিকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে শনিবার জলন্ধরের শাহকোটে সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছিল। তখনই দলের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছিল বহু বিতর্কিত ভিডিও। ফলে, পঞ্জাব জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে রবিবার বেলা বারোটা পর্যন্ত।