নগদে বা অনলাইনে বড় অঙ্কের লেনদেন করছেন? আয়কর দফতরের রক্তচক্ষু এড়াতে কী করবেন?
ভারতে আয়কর সংক্রান্ত নিয়ম অত্যন্ত কঠোর। আয়কর দফতরের নজরদারি সর্বত্র। সাধারণ মানুষের নগদ ও অনলাইনে লেনদেন আয়কর বিভাগের নজর এড়ায় না। আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া নজর রাখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
বছরে নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি অর্থ লেনদেন করলেই আয়কর বিভাগের নজরে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে
অনেক সময়ই প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে নগদে বা অনলাইনে বড় অঙ্কের লেনদেন করতে হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম না মেনে লেনদেন করলে আয়কর বিভাগ থেকে নোটিস পেতে পারেন। এই কারণে নিয়ম জেনে রাখা ভালো।
ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করলেই আয়কর বিভাগের নোটিস!
ভারতে আয়কর সংক্রান্ত আইনের ১১৪ বি ধারা অনুযায়ী, ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করলে বা কোনও এক দিনে ২ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করলে আয়কর বিভাগের নজরদারিতে পড়তে হয়।
বড় লেনদেন করলেও আয়কর বিভাগের নোটিস এড়াতে চাইলে কী করতে হবে জেনে নিন
ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে এক দিনে ৫০,০০০ টাকার বেশি নগদ জমা করতে হলে প্যান বাধ্যতামূলক। নগদে ৫০,০০০ টাকার বেশি অঙ্কের কিছু কিনতে হলেও প্যান দরকার। মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার, এবং ফিক্সড ডিপোজিটে বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলেও প্যান দরকার হয়।
মোটা টাকা দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি বা জমি-বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনতে হলেও আয়কর বিভাগের নজরদারিতে পড়তে হতে পারে
কোনও জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার সময় ৩০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করলে, নগদে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি কিনলে আয়কর দফতরের নজরদারিতে পড়তে হতে পারে। এই কারণে লেনদেন সংক্রান্ত নথি হাতের কাছে রাখা উচিত।
বাড়িতে আয়কর বিভাগের নোটিস এলে ভয় না পেয়ে ঠিক কী করা উচিত জেনে নিন
বড় অঙ্কের লেনদেন করলে প্রয়োজনীয় আয়কর দিতে হয়। আয়কর বিভাগ নোটিস পাঠালে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে কোনও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা উচিত। তাহলে সমস্যা এড়ানো যায়।