গবেষণায় শহুরে ভারতে নাগরিকদের মানসিক সুস্থতা ট্র্যাক করা হয়। ২০২১ সালের জুলাই এবং সেপ্টেম্বর মাসের সমীক্ষা চালানো হয়।
কনজিউমার ইনসাইটস ও ব্র্যান্ড অ্যানালেটিকস সংস্থা(consumer insights and brand analytics company) টিআরএ রিসার্চের (TRA Research) সাম্প্রতিক সমীক্ষায় কলকাতার জন্য খারাপ খবর। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস(World Mental Health Day) উপলক্ষে এই সংস্থা দ্বিতীয় মানসিক সুস্থতা শ্বেতপত্র (second Mental Wellbeing whitepaper) প্রকাশ করেছে। গবেষণায় শহুরে ভারতে নাগরিকদের মানসিক সুস্থতা ট্র্যাক করা হয়। ২০২১ সালের জুলাই এবং সেপ্টেম্বর মাসের সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষা চলে ১৬টি শহরে ১০০৩ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে।
এই গবেষণায় স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা, অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ, পারিবারিক সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ, নাগরিকদের আর্থিক উদ্বেগ এবং তাদের মোকাবিলা করার ক্ষমতা পরিমাপ করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্তরে শহরগুলিতে দারুণ ভালো ফল প্রকাশিত হয়েছে। তালিকার সবার ওপরে রয়েছে কোচি। কোচি শহর পেয়েছে সর্বোচ্চ স্কোর(+১৭৭%)। ২০২০ সাল থেকে এই শহরের মানুষের ভালো থাকা ও মানসিক সুস্থতার হার বেড়েছে প্রায় ১৩১ শতাংশ।
এর পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনউ, পঞ্জাব ও হরিয়ানার রাজধানী চণ্ডীগড়। এই দুই শহরের স্কোর যথাক্রমে +১৪৭% এবং +১৪৪%। এ ছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্যের নিরিখে ওপরের দিক রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর ও রাজস্থানের জয়পুর। এদের স্কোর যথাক্রমে +১১৩% এবং +১০১%।
এই তালিকার অনেক নীচে স্থান পেয়েছে কলকাতা। রিসার্চ বলছে, সবচেয়ে খারাপ মানসিক স্বাস্থ্যের স্কোর কলকাতার (+৯%), আহমেদাবাদ (+৩ শতাংশ) এবং চেন্নাই (-৮ শতাংশ)। তিনটি শহরই মানসিক স্বাস্থ্যের দিক থেকে অনিশ্চয়তার দোলাচলে ভুগছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তবে চেন্নাইয়ের হাল সবচেয়ে খারাপ। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে টিআরএ -র করোনাভাইরাস মেন্টাল ওয়েলবিং ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট লঞ্চের সময় টিআরএ রিসার্চের প্রধান নির্বাহী এন চন্দ্রমৌলি বলেন, "গত বছরের গবেষণায় ভারতীয় নাগরিকদের আর্থিক দুশ্চিন্তা ছিল ৬০ শতাংশ জুড়ে।
২০২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ শতাংশে। তবে বৃদ্ধি পেয়েছে পারিবারিক উদ্বেগ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ। গবেষণায় উত্তরদাতাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তারা অদূর ভবিষ্যতে কোন কাজগুলি করতে চান। খুব স্বাভাবিকভাবেই উত্তরগুলির বেশিরভাগ ছিল পরিবার কেন্দ্রিক। ৩৮ শতাংশ মানুষ বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান, বেড়াতে যেতে চান।
ধর্মস্থানে যেতে চেয়েছেন মাত্র ২৮ শতাংশ মানুষ। তবে মুভি থিয়েটার যাওয়ার প্রশ্নেই সব থেকে খারাপ উত্তর এসেছে। কারণ এখন এবং অদূর ভবিষ্যতেও অনেকেই মুভি থিয়েটারে যেতে চাননি। মাত্র ৮ শতাংশ মানুষ মুভি থিয়েটারে যেতে চান। অন্যদিকে, অবসর যাপনের জন্য ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছেন ২৫ শতাংশ এবং শপিং করতে যেতে চেয়েছেন ২১ শতাংশ মানুষ।