কোটায় শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১০৪, রিপোর্ট তলব সনিয়ার, আসরে নামল কেন্দ্র

  • বৃহস্পতিবার রাজস্থানের কোটায় আরও এক শিশুর মৃত্যু হল
  • সব মিলিয়ে ডিসেম্বর থেকে এই সংখ্যা পৌঁছল ১০৪-এ
  • মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এই বিষয়টি এখন তাদের অগ্রাধিকার
  • আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকারও

 

amartya lahiri | Published : Jan 2, 2020 3:20 PM IST / Updated: Jan 02 2020, 08:52 PM IST

বুধবার রাতে জে কে লন হাসপাতালে আরও দু'টি শিশু মারা গিয়েছিল, আর বৃহস্পতিবার আরও এক শিশুর মৃত্যু হল। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত রাজস্থানের কোটায় মোট ১০৪ জন শিশুর মৃত্যু ঘটল। গত ৭২ ঘন্টাতেই মৃত্য়ু হয়েছে মোট ১৩টি শিশুর। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কাছে এই বিষয়ে রিপোর্টচ তলব করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন-ও এদিন আসরে নেমেছেন।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শিশু-মৃত্যুর সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে এই বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করে তিনি একটি চিঠিও লিখেছে। কোথায় সমস্যা হচ্ছে, এবং কীভাবে তার দ্রুত সমাধান করা যায় তা বিশ্লেষণের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে তিনি আরও বলেছেন, শীর্ষস্থানীয় শিশু চিকিৎকদের একটি বিশেষজ্ঞ দলকেও রাজস্থানে পাঠানো হচ্ছে। শুক্রবারের মধ্য়েই এই দলটি কোটায় পৌঁছে যাবে।

শুধু কেন্দ্রীয় সরকারি নয়, শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় দারুণ চাপে পড়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীও। এদিনই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও বিএসপি নেত্রী মায়াবতী এই বিষয়ে সনিয়ার অসংবেদনশিলতা নিয়ে  প্রশ্ন তুলেছেন। এই অবস্থায় সনিয়া মুখ্য়মন্ত্রী গেহলট ও দলের রাজ্য সভাপতি অবিনাশ পান্ডের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের সমালোচনার মুখে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন জে কে লোন হাসপাতালে অসুস্থ শিশুদের মৃত্যুর বিষয়ে তাঁর সরকার সংবেদনশীল। এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধও করেছেন তিনি। সোশ্য়াল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যই এখন তাঁর সরকারের অগ্রাধিকার। কেন্দ্রীয় সরকারের  গঠন করা বিশেষজ্ঞদের দলকেও তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।

ডিসেম্বরের মাসে ওই হাসপাতালে কমপক্ষে ১০০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। নতুন বছরের প্রথম দুইদিনে সেই তালিকায় আরও চারজন যুক্ত হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭৭ জন। সেই তুলনায় এইবার সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। হাসপাতালের সুপার ডাক্তার সুরেশ দুলারা-র মতে, কম ওজনেই নিয়ে জন্ম নেওয়াতেই শিশুদের রক্ষা করা মুশকিল হচ্ছে।

এই নিয়ে দিন কয়েক আগেই রাজ্য সরকার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। তাদের রিপোর্টে হাসপাতালের তরফে কোনও গাফিলতির কথা না থাকলেও, গত সোমবার জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন-এর সদস্যরা কিন্তু অন্য কথা জানান। তারা জানিয়েছে, হাসপাতালের বেশ কিছু জানলা-দরজা ভাঙা, ক্যাম্পাসের মধ্যে অবাধে শুয়োর ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কতা পর্যাপ্ত চিকিৎসা কর্মীর অভাব রয়েছে।   

Share this article
click me!