লোকসভা নির্বাচন প্রায় শেষলগ্নে। আর এই গোটা নির্বাচনের মধ্যে বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা এবং সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর বিভাগ।
লোকসভা নির্বাচন প্রায় শেষলগ্নে। আর এই গোটা নির্বাচনের মধ্যে বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা এবং সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর বিভাগ।
রাত পোহালেই দেশে সপ্তম দফার লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ছয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ। কিন্তু এই নির্বাচনের মাঝেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা এবং সম্পত্তি।
দেশের নানা প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বেআইনি সম্পদ এবং নগদ টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর বিভাগ। গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় যে পরিমাণ নগদ টাকা এবং সোনা উদ্ধার হয়েছিল, তার থেকে এবার অনেক বেশি পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার করেছে তারা। তালিকার একেবারে শীর্ষে আছে দিল্লী এবং কর্ণাটক। মূলত এই দুটি রাজ্য থেকেই রেকর্ড পরিমাণ বেআইনি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর বিভাগ
শুক্রবার, একটি বিবৃতি দিয়ে বাজেয়াপ্ত বেআইনি সম্পদের হিসেব প্রকাশ্যে জানিয়েছে তারা। আয়কর দফতরের হিসেব অনুযায়ী, গত লোকসভা ভোটের পুরো দেশ মিলিয়ে নগদ এবং গয়না সমেত মোট ৩৯০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পদ উদ্ধার করা হয়।
তবে এবার সেটি বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়ে গেছে। রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। এবারের লোকসভা নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত যা সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার পরিমাণ প্রায় ১১৫০ কোটি টাকার। যার মধ্যে একেবারে প্রথমেই রয়েছে দিল্লী এবং কর্ণাটক। এই দুটি রাজ্যে ২০০ কোটিরও বেশি বেআইনি নগদ টাকা এবং গয়না উদ্ধার করেছে আয়কর বিভাগ। তারপরই রয়েছে তামিলনাড়ু। এই রাজ্য থেকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এছাড়াও তালিকায় অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং ওড়িশাও রয়েছে। এইসব রাজ্য থেকে প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি টাকা এবং গয়না উদ্ধার করা হয়েছে।
আয়কর বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত নগদ টাকা এবং গয়না ব্যবহৃত হচ্ছিল ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য। গত ১৬ মার্চ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে কমিশন। আর তারপর থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে এই পরিমাণ বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার করল আয়কর দফতর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।