দেশে যখন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ তখন রাজনৈতিক খেলা চলছে পদ্ম ও হাত শিবিরে। রাজস্থানে গত ৩ মাসে ৭ জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেস থেকে। রাজ্যসভা নির্বাচনের ঠিক ২ সপ্তাহ আগে গুজরাত বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করলেন ৩ বিজেপি বিধায়ক। রাজ্যসভা নির্বাচনে আগে এভাবে বিধায়কদের পদত্যাগ ক্রমেই চিন্তার ভাজ স্পষ্ট করছে কংগ্রেস শিবিরে। এরমধ্যে অবশ্য মধ্যপ্রদেশে বিজেপিকে ধাক্কা দিল কংগ্রেস। উপনির্বাচনের আগেই দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিজেপির নেতা বলেন্দু শুক্লা।
মাস কয়েক আগেই কংগ্রেস শিবিরের বিধায়ক ভাঙিয়ে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতার দখল নিয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন শিবরাজ সিং চৌহ্বান। কিন্তু উপনির্বাচনের আগে এভাবে দলের এক নেতার কংগ্রেস শিবিরে চলে যাওয়া পদ্ম শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা। ধাক্কা লেগেছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারও। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মাধবরাও সিন্ধিয়ার পুত্র। অন্যদিকে বলেন্দু শুক্লা একসময় আবার সিন্ধিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। জানা যাচ্ছে তাঁর প্রতি দলের ব্যবহার নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন বলেন্দু।
আরও পড়ুন: ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা যোগী রাজ্যে, ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু ২ শিশু সহ একই পরিবারের ৯ সদস্যের
তবে একসময় কংগ্রেসেই ছিলেন বলেন্দু শুক্লা। তিনি গোয়ালিয়র ও চম্বল এলাকায় ব্রাহ্মণদের মুখ হিসাবেই পরিচিত।পাশাপাশি প্রয়াত মাধবরাও সিন্ধিয়ার ছোটবেলার বন্ধু। তিনি অর্জুন সিং, মোতিলাল ভোরা এবং দিগ্বিজয় সিং-এর মন্ত্রিসভায় ১৩ বছর ধরে মন্ত্রীত্বও করেন। তাই তার কংগ্রেসে ফেরাকে অনেকেই ঘর বাপসি বলছেন।
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের উপস্থিতিতেই দলের সদস্যপথ গ্রহণ করেন বলেন্দু শুক্লা। একসময় সিন্ধিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ হলেও মাধব রাওয়ের মৃত্যুর পর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এরপরেই বহুজন সমাজ পার্টির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েন তিনি। যদিও সেই নির্বাচনে বলেন্দু। এর পরেই বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এদিকে কংগ্রেস ছেড়ে জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যোগ দেওয়াতেই তিনি শিবির বদল করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের পুরীতে উধাও চেনা ছবি, এই প্রথম ভক্ত ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে জগন্নাথের স্নানযাত্রা
বলেন্দু শুক্লার সঙ্গে এদিন ২০১৮ সালের নির্বাচনে হেমগাঁও থেকে সামজবাদী পার্টির টিকিটে ভোটে লড়া সুরেশ সিং-ও কংগ্রেসে যোগ দেন। শোনা যাচ্ছে ৭৪ বছরের বলেন্দু শুক্লা গোয়ালিয়র পূর্ব বিধানসভা আসন থেকে উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়তে পারেন। এর আগে গোয়ালিয়রেরই বিধায়ক ছিলেন তিনি।
১৯৮০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বলেন্দু শুক্লা কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়েন। এর মধ্যে ৩ বার জয়ীও হন, পাশাপাশি ৩ বার পরাজিতও হতে হয়।