গত ১৭ মার্চ পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয় মৎসজীবীর। আগামী ২৯ এপ্রিল তাঁর মৃতদেহ মহারাষ্ট্রের পালঘরে আনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
গত ১৭ মার্চ পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয় মৎসজীবীর। আগামী ২৯ এপ্রিল তাঁর মৃতদেহ মহারাষ্ট্রের পালঘরে আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। মৃত মৎসজীবীর নাম বিনোদ লক্ষ্মণ কোয়াল বলে জানা গিয়েছে। গুজরাটে একটি মাছ ধরার নৌকায় কাজ করেছিলেন বিনোদ এবং ২০২২ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে পাকিস্তানি উপকূলরক্ষী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।
গত ৮ মার্চ স্নান করার সময় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে যান কোয়াল ৷ পাকিস্তানের একটি কারাগারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি ৷ সেখানেই মারা যান বিনোদ৷
১৭ মার্চ পাকিস্তানে অন্যান্য ভারতীয় বন্দিদের তার মৃত্যুর খবর জানান হয়। পরে তারা কারাগারের কর্মীদের সহায়তায় গোরাটপাড়ায় তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বিনোদের মৃত্যুর বার্তা পৌঁছে দেয়।
বিনোদের দেহ তাদের কাছে পাঠানো হবে না এই আশঙ্কায় পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় বিধায়কের কাছে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করেছিলেন, পরে তারা পাকিস্তানি সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরে তারা তার দেহ ভারতে পাঠাতে রাজি হয়।
পাকিস্তানে বন্দিদের নিয়ে কাজ করা একটি সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি যতীন দেশাই জানিয়েছেন, "আগামী ২৯ এপ্রিল তাঁর দেহ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।"
দেশাই জানান, "একজন ভারতীয় বন্দির মৃত্যুর খবর ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল, তবে তার নাম বিনোদ লক্ষ্মণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সরকারি আধিকারিকরা তাঁকে গুজরাটের বাসিন্দা ভেবে তাঁর পরিবারের খোঁজে তল্লাশির চেষ্টা করেন। চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর মহারাষ্ট্রের বন্দিদের তালিকায় তাঁর নাম খুঁজে পান তাঁরা।"
দেশাই জানিয়েছেন যে "তাঁর মরদেহ অমৃতসরে ভারতীয় কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে, সেখান থেকে এটি দাহানুতে আনা হবে।
আধার কার্ডে মৃত বিনোদের বয়স ৫৭ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু বিনোদের আত্মীয়রা দাবি করেছেন যে এটি ভুল এবং তাদের দাবি যে তার বয়স ৪৫ বছর। এদিকে, পাকিস্তানের জেলে বন্দি প্রায় ৩০০ মৎস্যজীবীর মধ্যে ৩৫ জন বন্দিকে ৩০ এপ্রিল মুক্তি দিয়ে ভারতীয় কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ৩৫ জনের মধ্যে পাঁচজন পালঘর জেলার দাহানুর বাসিন্দা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মৎস্যজীবীরা বাড়ি পৌঁছে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।